সময় যতো ঘনিয়ে আসছে, আসন্ন কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে ততোই বাড়ছে উম্মাদনা। বিভিন্ন দেশের ফুটবল দলের সমর্থনে এরইমধ্যে নারায়ণগঞ্জ জুড়ে বাড়ছে উত্তেজনা। সমর্থনকারী দেশের ফুটবল দলের জার্সি ও সেই দেশের পতাকা কেনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ফুটবলপ্রেমীরা। অনেকে আবার সীমানা দেয়াল, ভবনের দেয়াল ও রাস্তা-ব্রিজ-কালভার্টেও এঁকে দিচ্ছেন সমর্থনকারী দেশের পতাকা।
এ যেন এক উৎসবের আমেজ। নগরজুড়ে বেড়েছে পতাকা বিক্রেতার সংখ্যাও। বিশ্বকাপ খেলা উপভোগ করার জন্য প্রজেক্টর ভাড়া নেওয়ার চিন্তা করছেন অনেকে। এদিকে, ব্যস্ত সময় পার করছে নগরীর ডিআইটি খেলাধুলা দোকানের দোকানিরা। আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের জার্সির চাহিদা তুঙ্গে; এমনটাই জানিয়েছেন দোকানিরা।
দোকানিরা জানান, ‘বিভিন্ জার্সি আমাদের কাছে থাকলেও আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের জার্সির চাহিদা সবচেয়ে বেশি।’
নগরজুড়ে দেখা গেছে পতাকার বিক্রেতাদের বিচরণ। যদিও আগের মতো পাকা ছাদে লাগানোর প্রথাটা কমেছে, তবে পতাকা বিক্রেতাদের বিক্রি ভালো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারাই।
বিশ্বকাপের অন্যরকম উম্মাদনা দেখা গেছে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে। বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগেই নিজের একমাত্র উপার্জনের অটোরিকশাকে আর্জেন্টিনার পতাকার রঙ্গে রাঙিয়েছেন আলম মিয়া। ২৬ বছর বয়সী মো. আলম মিয়া পেশায় একজন রিকশাচালক। ফুটবল খেলা ভালোবাসেন। তার পছন্দের দল আর্জেন্টিনা। আলম রিকশা নিয়ে যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই উৎসুক মানুষের ভিড়। অনেকেই তার সঙ্গে সেলফি তুলছেন, কেউ রিকশার ভিডিও ধারণ করছেন। তবে তা নিয়ে মোটেও বিরক্ত নন তিনি। নিজের পছন্দের দল ও খেলোয়াড় লিওনেল মেসিকে ভালোবেসে নিজের উপার্জিত ১০ হাজার টাকা ব্যয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন দলের পতাকাকে।
অন্যদিকে, সদর উপজেলার বক্তবলি ঘাটে দেখা গেছে নাসির মিয়া নামের এক ট্রলার চালককে। তার পছন্দের দল আর্জেন্টিনা। আর তাই নিজের দলের সমর্থনে পুরো ট্রলারকে রং করেছেন আর্জেন্টিনার পতাকার আদলে।
এছাড়াও নগরীর বিভিন্ন এলাকার বাসা বাড়ির ছাদে দেখা যায় বিভিন্ন দলের পতাকা। যারা ছাদে লাগাতে পারছেন না তারা বারান্দায় লাগিয়ে রেখেছেন পছন্দের দলের পতাকা। কেউ ব্রাজিল কেউ আর্জেন্টিনা। তবে পৃথক পৃথক দলের সমর্থক হলেও সবাই সৌহার্দ্য বজায় রেখেই কাতারে অনুষ্ঠিত এই বিশ্বকাপ ফুটবল উপভোগ করবেন- এমনটাই প্রত্যাশা ফুটবলপ্রেমীদের।