রুদ্রবার্তা২৪.নেট: নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ ও মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য শামীম ওসমানের আবেদনের প্রেক্ষিতে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীদের কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে সাংসদসহ তার স্ত্রী-পুত্রের সদস্য পদ। তাদের তিনটি খালি পদে নতুন তিনজনকে যুক্ত করা হয়েছে। স¤প্রতি কমিটির নেতারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী।
তিনি প্রেস নারায়ণগঞ্জকে বলেন, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সাংসদ শামীম ওসমান, তার স্ত্রী সালমা ওসমান লিপি ও একমাত্র ছেলে ইমতিনান ওসমান অয়নকে সদস্য পদ দেয়া হয়েছিল। এ নিয়ে আপত্তি জানান খোদ সাংসদ শামীম ওসমান। তাঁর মতে, তিনি ও তাঁর পরিবারের লোকজন আওয়ামী লীগের নিবেদিত প্রাণ। তারা আওয়ামী পরিবারের অংশ, এটা প্রতিষ্ঠিত বিষয়। সুতরাং তাদের আলাদা করে পদের প্রয়োজন নাই। তাদের পদ থেকে সরিয়ে নতুন কাউকে সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন শামীম ওসমান। এ বিষয়ে চিঠিও দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর মত অনুযায়ী তাদের বাদ দিয়ে নতুন তিনজনকে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কমিটির নেতারা।
কমিটির সভাপতি সাইফউল্লাহ বাদল বলেন, শূণ্য তিন পদে শরীফুল হক, আব্দুর রাজ্জাক ও মো. জালালউদ্দিনকে প্রস্তাব করা হয়েছে। এমপি সাহেবের সাথে আলোচনা করে আগামী কমিটির সভায় তাদের তিনজনকে যুক্ত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।
সাংসদ শামীম ওসমান আওয়ামী লীগের মনোনয়নে তিনবারের নির্বাচিত সাংসদ হলেও তার স্ত্রী সালমা ওসমান লিপি ও একমাত্র ছেলে ইমতিনান ওসমান অয়ন সরাসরি দলের কোনো পদ-পদবীতে ছিলেন না। তবে চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে কার্যকরী সদস্যের পদ পান তারা। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে প্রথম তিন কার্যকরী সদস্য পদে ছিলেন সাংসদ সাংসদ শামীম ওসমান, সালমা ওসমান লিপি ও ইমতিনান ওসমান অয়ন। থানা আওয়ামী লীগের কার্যকরী পদে সাংসদের স্ত্রী-সন্তানের নাম আসার পর এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়।
সাংসদ শামীম ওসমানের স্ত্রী সালমা ওসমান লিপি নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান। তবে সাংসদ পুত্র ইমতিনান ওসমান অয়ন এর পূর্বে কোনো সংগঠনের পদে না থাকলেও ছাত্রলীগের নেপথ্যে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তবে স্ত্রী পুত্রের কমিটিতে সরাসরি পদ চাননি সাংসদ শামীম ওসমান। তিনি কার্যকরী কমিটির সদস্য পদ থেকে সরে যেতে চেয়ে চিঠি দেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল ও সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলীর কাছে।