ফতুল্লার বোয়ালিখাল ভুইয়ারবাগে হোসিয়ারী শ্রমিক নয়ন শিকদার(১৭) হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি রাসেল ওরফে কাকা রাসেল (২০) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত রাসেল ওরফে কাকা রাসেল জেলার সদর থানার নন্দিপাড়ার ইসলাম মিয়ার পুত্র।
সোমবার রাতে তাকে ফতুল্লা মডেল থানার গলাচিপা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে পুলিশ নয়ন শিকদার হত্যা মামলার আরো এজাহারনামীয় আরো ছয় আসামি কে গ্রেপ্তার করে।
কাকা রাসেল গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে নয়ন শিকদার হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সজীব জানান, গ্রেপ্তারকৃত রাসেল হত্যা মামলার এজাহারনামীয় তিন নাম্বার আসামি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়েছে রাসেল। সোমবার রাত আটটার দিকে তাকে গলাচিপা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ( মঙ্গলবার) তাকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। রাসেল কে নিয়ে এজাহারনামীয় সাত আসামি কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলো- আল আমিন (২২), জয় (১৮), ইয়াসিন আরাফাত (১৮), জুয়েল (১৮), ফরহাদ (১৮) ও শাওন (১৮)।
উল্লখ্য যে, নিহত নয়ন স্থানীয় একটি হোসিয়ারীতে কাজ করতো। শুক্রবার (৭ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে নিহত নয়ন প্রয়োজনীয় কাজে বাসা থেকে বের হয়ে ভুইয়ারবাগস্থ বোয়ালিয়া খাল এলাকায় যায়। সেখানে গিয়ে নিহত নয়ন তার পূর্ব পরিচিত ফরহাদ ও শাওন কে দেখতে পায়। তখন ফরহাদ ও শাওন কৌশলে নিহত নয়নকে বোয়ালিয়া খালস্থ আলমের বালু রাখার স্থানে নিয়া যায় এবং মার্বেল খেলার ছলে হত্যাকারীদের জন্য অপেক্ষা করিতে থাকে।
কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পর রাত সাড়ে সাতটার দিকে শাকিলের নেতৃত্বে লেংটা শিপন, কাকা রাসেল, আল-আমিন, জয়, পায়েল, জুয়েল, ইয়াসিন আরাফাত, ফরহাদ, হানিফ, মমিন, মধু, সোহান সাগর সহ অজ্ঞাত নামা ১০/১৫ জন নয়ন কে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
নয়ন আত্নরক্ষার্থে ডাক-চিৎকার করলে স্থানীয় এলাকাবাসী এগিয়ে এলে হত্যাকারীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা নয়নকে উদ্ধার করে শহরের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষনা করে।
এ ঘটনায় শনিবার (৮ জুলাই) বিকেলে নিহতের মা নাসিমা বেগম (৪৩) বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাতনামা আরো ১০-১৫ জনকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।