সদর উপজেলার ফতুল্লায় কাশিপুরে একটি ছয়তলা ভবনের পাঁচতলার ফ্ল্যাটে বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ চারজন দগ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও দুজন আহত হয়েছেন।
দগ্ধরা হলেন কাশিপুর হোসাইনী নগর এলাকার হোসিয়ারি কারখানার মালিক সবুজ খন্দকার (২৫), পোশাক কারখানার শ্রমিক রানা মিয়া (৩০), তাঁর স্ত্রী বিথি আক্তার (১৮) ও তাঁদের এক কন্যাশিশু। আহতরা হলেন স্থানীয় ফল ব্যবসী আবু কালাম (৬০) ও জাকির হোসেন।
প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে (ভিক্টোরিয়া) নিয়ে যান স্থানীয়রা। সেখানে চিকিৎসকেরা দগ্ধ চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠিয়ে দেন। আহত আবু কালাম ও জাকির হোসেনকে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানো হয়েছে।
শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে কাশিপুর হোসাইনী নগর এলাকার আসলাম হোসেনের মালিকানাধীন লক্ষ্মী নিবাসের পাঁচতলার একটি ফ্ল্যাট থেকে হঠাৎ বিকট শব্দে এ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফ্ল্যাটের ভেতরে আগুন ধরে যায়। ফ্ল্যাটের আসবাবপত্রও আগুনে পুড়ে যায়। আশপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন।
বিস্ফোরণে পাঁচতলার ফ্ল্যাটের দেয়াল ভেঙে নিচে পড়ে পাশের একটি আধাপাকা ঘরের চালাসহ আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে ওই ঘরে কেউ না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বিস্ফোরণে আশপাশের ফ্ল্যাটের দরজা ও জানালার দেয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ফরিদা বেগম জানান, ঘরের ভিতরে ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ করেই শুনতে পারি বিকট আওয়াজ। ঘর থেকে বের হওয়ার জন্য দরজা খোলার চেষ্টা করি, কিন্তু কোনোভাবেই দরজা খুলতে পারছিলাম না। অনেক চেষ্টার পর খুলেই দেখি বাড়ির উঠানে বিশাল এক ভাঙা দেয়াল পড়ে আছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক ফখরউদ্দিন আহম্মাদ বলেন, ফ্ল্যাটের ভেতরে জমা গ্যাস থেকে এ বিস্ফোরণ হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি ফ্ল্যাটের ভেতর গ্যাস সিলিন্ডার ও তিতাস গ্যাসের লাইন দু’টোই রয়েছে। কোন লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে তদন্তের পর তা নিশ্চিত করে বলা যাবে।