ফতুল্লার মাসদাইরে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের তান্ডবে পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১০/১২ জন আহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামী সন্ত্রাসী সাব্বির ওরফে চশমা সাব্বিরসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। গ্রেপ্তারকৃত অন্যান্য ৩ জন হলেন, নূর হোসেন সুমন (১৯), রিফাত (২৭) ও কাওসার (২২)। রোববার (২১ আগস্ট) ফতুল্লার মাসদাইরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃত সাব্বির ওরফে চশমা সাব্বির ও তার সহযোগিরা শনিবার (১৯ আগস্ট) রাতে মাসদাইর এলাকায় বেক এন্ড বিন রেস্টুরেন্টের ভিতর ৪০/৫০ জন দুষ্কৃতিকারীরা দেশীয় অস্ত্র রামদা, হকিস্টিক, লোহার পাত, কাঠের ডাসা ইত্যাদি সহকারে এলাকায় ত্রাসের ও ভীতির সৃষ্টি করে। বিভিন্ন অফিস, দোকানপাট, রেস্টুরেন্ট ভাঙচুরসহ জনমনে আতংক সৃষ্টি করে। এবং লোকজনদের মারধর করে রাস্তায় যানবাহন ভাঙচুরকালে পাশে দিয়ে যাওয়ার সময় রূপগঞ্জ থানার এসআই আব্দুল্লাহ আল মারুফকে হত্যার উদ্দেশে রামদা দিয়ে কোপ মেরে বাম হাতের কব্জির উপরে মারাত্মক কাটা রক্তাক্ত ও যখম করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সাব্বিরকে প্রধান আসামী করে ফতুল্লা থানায় মামলা ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সাব্বিরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
এদিকে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ এজাহারনামীয় ৪ জন সহ ২৯ জনকে আটক করে আদালতে পাঠিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, প্রকৃত আসামীদের আড়াল করে নিরপরাধ দোকান কর্মচারী, অটো চালক, গার্মেন্টসকমী এমন ২৫ কিশোর ও যুবককে আটক করে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে। অথচ প্রধান আসামী সাব্বিরকে গ্রেপ্তার করেনি। র্যাবের হাতে সাব্বির গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনায় পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জনমনে।
উল্লেখ্য, শনিবার রাতে শহরের মাসদাইর এলাকায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়, রেস্টুরেন্টসহ ৮-১০টি দোকানে ভাংচুর করে একদল দুর্বৃত্ত। ওই হামলায় পুলিশের এসআই আব্দুল্লাহ্ আল মারুফসহ ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়। চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করেই হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে নেসার ও সাব্বির গ্রæপের সন্ত্রাসীরা।