রুদ্রবার্তা২৪.নেট: সদর উপজেলার ফতুল্লায় বাসা ভাড়া নেয়ার কথা বলে ফ্ল্যাটে ঢুকে গৃহবধূকে (৩৫) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় তল্লা আজমেরীবাগ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
গত ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নির্যাতনের শিকার নারী থানায় মামলা করেছেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা ওই মামলায় মহসিন নামে এক যুবককে আসামি করা হয়েছে। অভিযুক্ত মহসিন পটুয়াখালী জেলার দক্ষিণ চন্দ্রখালীর গোবখালী গ্রামের মৃত ফজল হকের পুত্র। সে রাজধানীর ৩২ নাম্বার ধানমন্ডি স্কয়ার হাসপাতালের ‘ফুড সার্ভার’ হিসেবে কাজ করে।
মামলার বরাতে ফতুল্লা থানা পুলিশ জানায়, নারায়ণগঞ্জ কোর্টে মহসিনের সঙ্গে পরিচয় হয় ভুক্তভোগী গৃহবধূর। পরিচয়ের সূত্র ধরে পরিবার নিয়ে থাকার জন্য গৃহবধূর নিকট একটি ফ্ল্যাটের সন্ধান চায় মহসিন। গৃহবধূ মহসিনকে পরিবারসহ তার ফ্ল্যাটে সাবলেট হিসেবে থাকার প্রস্তাব দেন। গৃহবধূর প্রস্তাবে রাজি হয়ে ঘটনার দিন সকাল ১১টার দিকে মহসিন ওই নারীর ফ্ল্যাট দেখতে যায়।
তখন ওই নারী একা থাকায় ফ্ল্যাট দেখা শেষে ছুরির ভয় দেখিয়ে হাত মুখ বেধে তাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় মহসিন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রকিবুজ্জামান বলেন, ‘২ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় নারীর ফ্ল্যাটে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী নারী ঘটনার দিনই আমাদের আছে আসেন, আমরা ওইদিনই তাকে মেডিকেল করার জন্য পাঠিয়ে দেই। এরপর তার আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে আলোচনা করে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে বিলম্ব করেন। তাই ৩ দিন পর অভিযোগ পেয়ে প্রাথমিক তদন্ত শেষে মামলা গ্রহণ করেছি। অভিযুক্ত মহসিন পলাতক আছে, তাকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।’