রুদ্রবার্তা২৪.নেট: ফতুল্লায় অজ্ঞান পার্টির পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১১ আগস্ট) দুপুরে ফতুল্লা থানার পঞ্চবটী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদের কে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় হাজী আব্দুর রহমান (৬০) নামক এক ব্যক্তির নিকট থেকে নিয়ে যাওয়া ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো ঢাকার দণি কেরানীগঞ্জ থানার মহুরীপট্রি মিজানের বাড়ীর ভাড়াটিয়া মো. ইয়াসিনের পুত্র মো. লিটন (৩২), ফতুল্লা থানার নন্দলালপুরের আনোয়ার হোসেনের ভাড়াটিয়া মৃত এসহাক মিজির পুত্র মো. ইমাম হোসেন (৩১), শরিয়তপুর জেলার জাজিরা থানার গফুর মোল্লাকান্দির মৃত আবুল কাশেমের পুত্র নাসির উদ্দিন (৪২), বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার জুগির কান্দির মৃত ছমের উদ্দিনের পুত্র মো. সিদ্দিক (৬০) ও ফতুল্লা থানার ধর্মগঞ্জ ঢালি পাড়ার শাওন গাজীর ভাড়াটিয়া আবুল হাসেমের পুত্র রেজওয়ান (৩০)।
জানা গেছে, মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানার ভাটি বলাকির মৃত হযরত আলীর পুত্র হাজী আব্দুর রহিম বুধবার দুপুর ২ টার দিকে নারায়নগঞ্জ থেকে আনন্দ বাসে চড়ে কেরানীগঞ্জের জাজিরা আসার পথে পঞ্চবটি বোরাক পরিবহন বাস কাউন্টারের সামনে পৌঁছামাত্র গ্রেফতারকৃত আসামী লিটন ও ইমাম হোসেন কৌশলে পিঠে বমি করার ভাব দেখিয়ে তা পরিস্কার করার চেষ্টায় লিপ্ত থেকে তার নাকে মুখে তাহাদের সাথে থাকা চেতনা নাশক দ্রব্য শুখাইলে বিছুটা অচেতন হয়ে পরে।
এ সুযোগে গ্রেফতারকৃতরা তার সাথে থাকা ৫০ হাজার টাকা নিয়ে নেয় এবং তাকে পঞ্চবটী বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দিয়ে সটকে পরার চেস্টা করে। এসময় তিনি ডাক-চিৎকার করলে স্থানীয় পথচারীর সহায়তায় পাশেই থাকা থানা পুলিশের একটি দল প্রথমে লিটন ও ইমাম হোসেন কে আটক করে।
এ সময় আটককৃতদের নিকট থেকে ৫০ হাজার উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক নাসির উদ্দিন, সিদ্দিক ও রেজওয়ান কে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় হাজী আব্দুর রহিম বাদী হয়ে ছয় জনের নাম উল্লেখ্যসহ অজ্ঞাত নামা আরো ৪/৫ জনকে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রকিবুজ্জামান জানান, মামলার বাদী কেরানীগঞ্জের জাজিরা থেকে ইট কেনার জন্য আনন্দ বাসে চড়ে আসছিলো। পথিমধ্যে যাত্রীবেশী অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা বমি করার ভান করে আবার তা পরিস্কার করার ছলে তার নাকে মুখে চেতনা নাশক দ্রব্য শোকায় এতে করে সে কিছুটা অসুস্থতাবোধ করলে পঞ্চবটী বাসস্ট্যান্ডে তাকে নামিয়ে পকেটে থাকা ৫০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যাবার সময় তিনি ডাক-চিৎকার করলে স্থানীয় পথচারীদের সহায়তায় থানা পুলিশের তাদের কে আটক করে এবং নিয়ে যাওয়া ৫০ হাজার টাকা উদ্বার করে। চক্রটির পালিয়ে যাওয়া অপর সদস্যদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।