শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

ফতুল্লার সেই যুবক সোহান হত্যার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৫

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৬ জুন, ২০২৩, ৪.১৪ এএম
  • ১০৮ বার পড়া হয়েছে

গুলি করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরা সেই যুবক সোহান (২৩) কে হত্যার ঘটনায় নিহতের বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ সোহান হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।গ্রেপ্তারকৃতরা হলো জয়নাল(৫২), স্ত্রী রশিদা বেগম(৪৫),ছেলে ওয়াসীম(১৯), মেয়ে স্বর্না(১৬) ও শান্ত (৩৫)।

মামলায় গ্রেপ্তারকৃত পাঁচজন সহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত নামা৩-৪ জনকে আসামী করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাত আটটায় ফতুল্লা থানার পাগলা বৌ বাজার এলাকায়।

 

ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মহসীন মিয়া জানান, নিহত সোহানের বাবা বাদী হয়ে বারো জনের নাম উল্লেখ্য সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩-৪ জন কে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে। মামলার এজাহারনামীয় ৫ জন আসামি কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জড়িত অপর আসামীদের গ্রেফতারের চেস্টা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও একাধিক তথ্যের ভিত্তিতে হত্যা কান্ডের নৈপথ্যের কারন হিসেবে জানা যায়, হাজী মিছির আলী কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী গ্রেপ্তারকৃত স্বর্না কে কেন্দ্র করেই সোহান হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। স্বর্না স্থানীয় হাজী মিছির আলী কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। তিন বছর ধরে নিহত সোহানের বন্ধু নাবিল স্কুল- কলেজে যাতায়াতের পথে প্রেমের প্রস্তাব সহ উত্যাক্ত করতো।

 

এ নিয়ে স্থানীয় মহলে একাধিকবার বিচার দেওয়া হয়। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উল্টো ক্ষেপে গিয়ে উত্যক্তের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয়। এমনকি এ নিয়ে স্বর্নার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ ও দায়ের করা হয়েছিলো বলে স্বর্না জানায়। মঙ্গলবার দুপুরে কলেজ থেকে বাসায় ফেরার পথে বখাটে নাবিল স্বর্নার হাত ধরে টানা হেচড়া করে। এ নিয়ে হৈ চৈ ও হয়।

বিষয়টি এক কান দু-কান করে চলে আসে স্বর্নার বাবা গ্যারেজ মালিক জয়নালের নিকট। তিনি জানতে পেরে বুধবার সকালে নিহত সোহানের বন্ধু বখাটে নাবিলের বাবা কে অবগত করে।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭ -৮ টার দিকে সোহান, নাবিল, নাঈম সহ ১০-১৫ জনের একটি দল দেশীয় তৈরী ধারালো অস্ত্র নিয়ে স্বর্নার বাবা জয়নালের গ্যারেজে গিয়ে হামলা চালায়।

 

জয়নাল ও তার পুত্র কে মারধর করে বাসায় বিচার দেওয়ার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে গালমন্দ করতে থাকে। এ সময় জয়নাল ও তার ছেলে ওয়াসীম সহ তাদের লোকজন পাল্টা আক্রমন করে। এতেই খুন হয় সোহান আহত হয় আরো আল আমিন ও হাসান।

উল্লেখ্য যে, ২০১৯ সালে নভেম্বর মাসে ৮-১০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায় সোহান নামের এক যুবক উপরের দিকে গুলি ছুড়ছে।

সে সময় প্রথমে এক এক গনমাধ্যম কর্মী তার ব্যক্তিগত আইডিতে ভিডিওটি পোস্ট করলে মূহুর্তেই তা ছড়িয়ে পরে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort