নিজস্ব প্রতিবেদক :বিবাহিত মিন্টু ওরফে বাটপার মিন্টু যার একাধিকবার বিয়ে করার অভ্যাস এবং বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে পরিচিত। কোথাও শামীম , কোথাও মিঠু হাসান, কোথাও রেজাউল করিম নামে পরিচিত। ঢাকা পল্লবী ঢাকা মিরপুর চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন এলাকায় একাধিক বার বিয়ে করেছেন তিনি। বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন মানুষকে জিম্বায় রেখে জামিনদার বানিয়ে কিস্তির লোন এবং ব্র্যাক ব্যাংকের লোন নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে পালিয়ে যায়ওা তার কাজ। বিবাহিত মিন্টু ওরফে বাটপার মিন্টুর বিরুদ্ধে ঢাকা পল্লবী ব্র্যাক ব্যাংক তার নামে প্রতারণা ও অর্থআত্সাথের মামলা করে।বিবাহিত মিন্টু ওরফে বাটপার মিন্টু তার প্রথম স্ত্রী আসমা বেগম তার দুই কন্যা সন্তান সহ তাদেরকে ফেলে রেখে ।ঢাকার মিরপুর থেকে পালিয়ে যায়। পরে সে ঢাকা পল্লবীতে। শারমিন নামের এক মেয়েকে বিয়ে করে। সেখানে সে ছয় থেকে সাত মাস সংসার করে ওইখান থেকেও পালিয়ে যায়। বিয়ে পাগল বহুরুপী মিন্টু চিটাগাং গিয়ে মারিয়া নামের আরেক মেয়েকে বিয়ে করে। ওইখানে দেড় বছর সংসার করে স্ত্রী ও সন্তান রেখে আবারও পালিয়ে যায়। আরো জানা যায় বিবাহিত মিন্টু ওরফে বাটপার মিন্টু কক্সবাজার চকরিয়া পালিয়ে যায় ওইখানেও আরেকটি বিয়ে করে মেয়েটার নাম জানা যায়নি। ওই ঘরে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। কন্যা সন্তান হওয়ার পরে নিজের বউ ও মেয়ে সন্তানকে রেখে কক্সবাজার চকরিয়া থেকে পালিয়ে আসে।
সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জ দেওভোগ পাক্কা রোড এলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে আরেকটি মেয়েকে বিয়ে করে। ছদ্মবেশ ধারণ করে সে এখন বিভিন্ন রকম ব্যবসা করে এবং বিভিন্ন মানুষের টাকা পয়সা আত্মসাৎ করে। নিজের নাম পরিচয় গোপন রেখে জীবন যাপন করতেছে প্রতারক মিন্টু।
আরো জানা যায় যে প্রথম স্ত্রীর পিতার ব্যাংকের চেক বই চুরি করে নিয়ে এসে গত ২৬ তারিখ তার শ্বশুরের সই নকল করে ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে টাকা উঠাতে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সই নকল দেখে তাকে তাড়িয়ে দেয় এবং ২৮ তারিখ মঙ্গলবার আবারো ব্যাংকে যায় সই নকল করে টাকা উঠাতে তখন ব্যাংকের কর্তৃপক্ষ কল করে একাউন্ট দাতাকে জানায়। একাউন্ট দাতা চেক দেয়নি জানালে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাকে তাড়িয়ে দেয়।
এই ব্যাপারে ঢাকা পল্লবী থানায় ২৮ তারিখে একটি জিডি করা হয়, এবং ঢাকা পল্লবী থানায় ব্রাক ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তার নামে মামলা ওয়ারেন্ট বের করে বিবাহিত মিন্টু ওরে বাটপার মিন্টুর নামে।
এবং তার প্রথম স্ত্রী আসমা বেগম তার বিষয়ে জানতে পেরে নারায়ণগঞ্জ জজ কোর্টে তার নামে নারীনির্যাতন মামলা দায়ের করেন। বিবাহিত মিন্টু ওরফে বাটপার মিন্টু মামলার কিছু আলামত জানতে পেরে এর মধ্যেই এখন আত্মগোপন করে রয়েছে। তাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে তার প্রথম স্ত্রী আসমা বেগম বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন।