৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্যানেল চেয়ারম্যানের ভাতিজার ছেলে ও তার ৪ সহযোগীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ৪ জন আটক হলেও গ্রেপ্তার হয়নি প্রধান আসামী প্যানেল চেয়ারম্যানের ভাতিজার ছেলে।
ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থীর বড় ভাইয়ের মামলায় শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে মুন্না, আবুল হোসেনের ছেলে ওসমান, শাহীনের ছেলে সাকিব ও আবুলের ছেলে অনিক। পলাকত প্রধান ধর্ষক কায়েতপাড়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও চনপাড়া আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বজলুর ভাতিজা হাসানের ছেলে জহির হোসেন পন্টু।
ধর্ষিতার পরিবার জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের একটি মাদ্রাসায় ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী(১৪) বাড়ীর সামনে দোকানে কেনাকাটা করতে গেলে সেখান থেকে জোড় করে তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে স্থানীয় সিটি গ্রুপের বালু চরে রাত ১২টায় আহত অবস্থায় পান। শিক্ষার্থী জানান, ৫ জন জোড় করে পালাক্রমে গণধর্ষন করে পালিয়ে গেছে। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করান। এ ঘটনায় শুক্রবার শিক্ষার্থীর বড় ভাই বাদী হয়ে উক্ত ৫ জনকে আসামী করে ধর্ষনের অভিযোগ এনে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ওসি এএফএম সায়েদ বলেন, গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ৫ জনের মধ্যে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি ১ জনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।