পানি খাওয়াকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুরের একটি গ্রামের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। তারা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
বুধবার (২৬ জুলাই) রাত ৮টার দিকে শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিতলিয়া ইউনিয়নের কাশিপুর হিন্দু পাড়ার শীল বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, প্রায় তিন সপ্তাহ আগে কাশিম বাজারের কাছে খোকন শীলের দোকানে গোপাল শীলের ৯ বছরের ছেলে বাধন শীল পানি খেতে যায়। তখন খোকন শীল বাধনের দিকে ঝাড়ু ছুড়ে মারেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রথম দফায় হাতাহাতি হলে স্থানীয় চেয়ারম্যান বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। পানি খাওয়ার পুরোনো সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই প্রস্তুতি নিয়ে বুধবার পুনরায় সংঘর্ষ বাঁধলে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে আটজন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছেন।
মনিকা শীল নামে একজন ঢাকা পোস্টকে বলেন, কিছুদিন আগে বাঁধন নামে ছোট্ট একটি ছেলে দোকানে পানি খেতে খেলে দোকানি খোকন শীল বাচ্চাটাকে বকাবকি করে পানি না দিয়ে ঝাড়ু ছুড়ে মারলে বিষয়টি বিবাদে রূপ নেয়। প্রথম দফায় চেয়ারম্যান মীমাংসা করে দিলেও আজ আবার সংঘর্ষ হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কৃষ্ণ শীল ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার ভাতিজা বাঁধনকে ঝাড়ু পেটা করার ঘটনায় প্রথমে হাতাহাতি হলে বিষয়টি মীমাংসা হয়। সেই শত্রুতাকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যার পর খড়ের আড়ালে নীরঞ্জন, খোকন, সঞ্জয়, সুনীল, লিটন, তনয়, প্রকাশ, কালাচানসহ প্রায় ১৫ জন রামদা, হকি স্টিকসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অবস্থান নেয়। আমি ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আমার ওপর হামলা করে। আমি চিৎকার করলে আমার ভাই আসে, তার ওপরও হামলা করে। এভাবে যারা আসছে তাদের ওপরই হামলা হয়েছে। আমি ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
অপর পক্ষের আহত তনয় নামে একজন ঢাকা পোস্টকে বলেন, কৃষ্ণ, গোপালসহ অন্যরা আমাদের ওপর হামলা করেছে। এর বেশি কিছু বলতে পারব না আমি।
চিতলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম হাওলাদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, একটি বাচ্চা খোকনের দোকানে পানি খেতে গেলে শত্রুতা শুরু হয়। আমি বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছিলাম। বেশ ভালোই যাচ্ছিল এতদিন। হঠাৎ সন্ধ্যার পর সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারি হয়েছে। দুই পক্ষের লোকজনই আহত হয়েছেন। তারা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছেন।
পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, কাশিপুরের দুই পক্ষের মারামারি পুলিশ নিয়ন্ত্রণে এনেছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।