এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও রাজশাহীর বাজারে সরকার নির্ধারিত দামে মিলছে না ডিম, আলু ও পেঁয়াজ। বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ কম। আড়ত থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এজন্য তারাও বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। মাছের দামও চড়া।
সরকার খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ৬৫ টাকা, আলু ৩৬ টাকা কেজি এবং প্রতি পিস ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করেছে। তবে শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজশাহীর সাহেব বাজার, সাগরপাড়া, নিউমার্কেট ও শালবাগান ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে হল্যান্ড আলু ৪৫ টাকা, দেশি আলু ৬০, দেশি পেঁয়াজ ৮০, ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০, আদা ২২০, দেশি রসুন ২২০, ভারতীয় রসুন ১৮০ টাকা কেজি এবং ডিম ৪৬ ও ৪৮ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।
সাহেব বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা মহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের পেঁয়াজ কিনতেই হচ্ছে বেশি দাম। তাই বেশি দামে বিক্রি করছি। তবে অভিযানের কারণে অনেক কম করে পেঁয়াজ আর আলু কিনছি।’
পাইকারি বিক্রেতা জনি আলম জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের বাজারে আলু ও পেঁয়াজের সরবরাহ কম। দামও স্থির থাকে না। বাধ্য হয়েই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
মাছের বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪০০ টাকা, কাতলা ৩৫০, সিলভার কার্প ২৫০, পাঙাশ ২৫০-৩০০, চাষের কই ৫৫০, দেশি কই ৬৫০, বড় তেলাপিয়া ৩০০, ছোট তেলাপিয়া ২০০, ইলিশ প্রকারভেদে ৫০০-১৬০০, বাগদা চিংড়ি ৯০০, গলদা চিংড়ি ১২০০, চিংড়ি মাঝারি ১৩০০, পাবদা ৬০০, ট্যাংরা ৬০০, শিং মাছ ৬০০ এবং বোয়াল বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা কেজি দরে।
মাছ বিক্রেতা সুমন আলী বলেন, ‘কিছু মাছ অন্য জায়গা থেকে আসে। আর কিছু মাছ রাজশাহীতেই পাওয়া যায়। যেগুলো বাইরে থেকে আসে তার দাম অনেক বেশি পড়ে যায়।’
সবজি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পটোল ৫০ টাকা কেজি, লাউ প্রতি পিস ৫০ টাকা, কচু ৮০, কাঁচা পেঁপে ৫০, কাকরোল ৮০, মিষ্টি কুমড়া ৫০, ঢ্যাঁড়শ ৫০, করলা ৪০, শসা ৬০, বরবটি ৫০, সজনে ডাঁটা ৫০, ঝিঙে ৫০, বেগুন ৮০ এবং ফুলকপি ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ২৯০, দেশি মুরগি ৪৫০, পাতিহাঁস ৪৫০, গরুর মাংস ৭০০ এবং খাসির মাংস এক হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
রাজশাহী জেলা বাজার মনিটরিং কর্মকর্তা আফ্রিন হোসেন বলেন, রাজশাহীর বাজারে এখনো নির্ধারিত দামে ডিম ছাড়া কিছুই মিলছে না। আমরা গেলে তারা নির্ধারিত দামে বিক্রি করেন। পরে আমরা চলে এলে দাম বাড়িয়ে দেয়।