বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৫ খুনির মধ্যে ৩ জন পাকিস্তান, লিবিয়া ও কেনিয়া যাতায়াত করছে। দুই খুনির পাকিস্তানের পাসপোর্ট রয়েছে।
অপরজনও পাকিস্তানের পাসপোর্ট ব্যবহার করতে পারেন। সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ওয়ালিউর রহমান বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করেছেন ওয়ালিউর রহমান। তিনি জানান, আমি কেনিয়াতে দুইবার সফর করেছি। কেনিয়া সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপে নিশ্চিত হয়েছি, বঙ্গবন্ধুর অন্যতম খুনি শরিফুল হক ডালিম কেনিয়ার নাইরোবিতে ব্যবসা করেন। তিনি পাকিস্তানের পাসপোর্ট ব্যবহার করছেন। পাকিস্তান ও কেনিয়ায় নিয়মিত যাওয়া আসা করে থাকেন।
ওয়ালিউর রহমান জানান, খন্দকার আব্দুর রশিদও পাকিস্তানের পাসপোর্ট ব্যবহার করছেন। তবে তিনি লিবিয়ার বেনগাজীতে ব্যবসা করেন। তিনিও নিয়মিত লিবিয়া ও পাকিস্তানে যাতায়াত করেন।
বঙ্গবন্ধুর অপর খুনি রিসালদার মোসলেম উদ্দিন খানের বিষয়ে ওয়ালিউর রহমান জানান, আমার ক্যালকুলেশন মোসলেম উদ্দিনও পাকিস্তানের পাসপোর্ট ব্যবহার করে থাকতে পারেন। তিনিও লিবিয়া ও পাকিস্তান যাতায়াত করে থাকেন।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার ৫ আসামির মধ্যে বিদেশে পালিয়ে রয়েছেন, খন্দকার আবদুর রশিদ, এম রাশেদ চৌধুরী, শরিফুল হক ডালিম ওরফে মেজর ডালিম, এসএইচএমবি নূর চৌধুরী ও রিসালদার মোসলেম উদ্দিন খান। পালিয়ে থাকা খুনিদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন এম রাশেদ চৌধুরী। আর কানাডায় অবস্থান করছেন নূর চৌধুরী।
উল্লেখ্য, উচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর ১২ খুনির মধ্যে ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। তারা হলেন- সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, মহিউদ্দিন আহমদ, এ কে বজলুল হুদা ও এ কে এম মহিউদ্দিন। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ১২ এপ্রিল খুনি মাজেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।