সুযোগটা আগের ম্যাচেও এসেছিল তার সামনে। তবে সেদিন উসমান খাজা পারেননি তার রানটাকে তিন অঙ্কে নিয়ে যেতে। তবে আজ আর কোনো ভুলচুক নয়, জন্মভূমি পাকিস্তানের মাটিতে পেয়ে গেলেন প্রথম সেঞ্চুরির দেখা। তার শতকে ভর করেই প্রথম দিনটা নিজেদের করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
তার জন্মভূমি ইসলামাবাদের কাছেই রাওয়ালপিন্ডির অবস্থান। সেখানে সেঞ্চুরিটা পাননি তিনি। পেয়েছেন করাচিতে, যেখানে তার স্বজনদের বসবাস। খাজার চার আত্মীয় থাকেন করাচিতে। এদিন গ্যালারিতেও হাজির ছিলেন সবাই। সেঞ্চুরিটা যখন করলেন, মিললো তাদের করতালিটা। তাতে তার সেঞ্চুরিটা ‘স্পেশাল’ হলো আরও।
রাওয়ালপিন্ডিতেও অবশ্য একটা দৃশ্য চোখে পড়েছিল বেশ। গ্যালারির ‘খাজা, খাজা, খাজা’ রব শুনলে খেলাটা পাকিস্তানে না অস্ট্রেলিয়ায় হচ্ছে তা নিয়ে বড় দ্বিধায় পড়ে যাওয়ার কথা আপনার। সে দৃশ্য চোখে পড়েছে আজও। খাজা বললেন, ‘এখানের ভক্তরা দারুণ। তারা বেশ সমর্থন দিয়েছেন, এর চেয়ে বেশি কিছু চাইতেই পারতাম না। আমার এটা বেশ ভালো লেগেছে, কারণ আপনি বলতে পারেন যে তারা পাকিস্তানের জয় চায়, কিন্তু আপনি এটাও বলতে পারবেন যে আমার প্রতিও যথেষ্ট সমর্থন দিয়েছে তারা।’
ডেভিড ওয়ার্নারকে সঙ্গে নিয়ে দারুণ আক্রমণ দিয়ে দিনের শুরুটা করেছিলেন খাজা। নতুন বলে শাহিন শাহ আফ্রিদিদের সামলে খাজা তুলে নিয়েছিলেন ৪৪ বলে ৩৪ রান। প্রথম ফিফটিটা পেলেন ৬৯ বলে। তবে এরপর ওয়ার্নার আর মার্নাস লাবুশেনের উইকেট হারানোয় কিছুটা বিপাকেই পড়ে যায় তার দল। সময়ের চাহিদা মিটিয়ে এরপর তিনি নিজেও ঢুকে পড়েছেন খোলসে। পরের ফিফটিটা এসেছে ১২৪ বলে। তাতেই মিলেছে তিন অঙ্কের জাদুকরী অঙ্কের দেখা।
ওয়ার্নার যখন ফিরছেন, তখন ১৮ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়া তুলে ফেলেছিল ৮২ রান। পরের ৭২ ওভারে উঠেছে মাত্র ১৬৯ রান। ৩৬ ওভারের শেষ সেশনে উঠেছে মাত্র ৭৯ রান।
তাতে লাভও হয়েছে। খোলসে ঢুকে অন্তত পাকিস্তানকে দেদারসে উইকেট বিলানো থেকে বিরত থাকতে পেরেছে দলটি। রাওয়ালপিন্ডিতে লেগস্টাম্প লাইনে বেশ ভুগেছে অস্ট্রেলিয়া। তবে সে দুর্ভোগ করাচিতে ফিরতে দেননি খাজা।
ওয়ার্নার ও লাবুশেনের বিদায়ের পর স্টিভেন স্মিথকে নিয়ে দলের ধাক্কাটা সামলেছিলেন তিনি। সেই স্মিথ সেঞ্চুরির দেখা পাননি, ফিরেছেন ৭২ রানে। তবে খাজা অপরাজিত আছেন ১২৭ রান নিয়ে। তিনি যে আগামীকাল পাক বোলারদের আরও ভোগান্তি উপহার দিয়ে আরও বড় রান করতে চাইবেন, তা বলাই বাহুল্য।