রূপগঞ্জে উপজেলার তারাবোর মনির খাঁন সুমেল নামে এক পৌর ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। তার বিবাহিত স্ত্রী মাহমুদা রহমান (৩২) এই অভিযোগ করেন। বিয়ের পর একসাথে থেকে সংসার করার পরও স্ত্রীকে শুধুমাত্র ছাত্রলীগের পদ রক্ষায় অস্বীকার করার অভিযোগও করেছেন এই নারী।
বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন মাহমুদা রহমান। মনির খাঁন সুমেল রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
তবে অভিযোগের পর পাল্টা মামলা ঠুকে দিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা মনির খাঁন সুমেল। নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাদী হয়ে একটি মামলা (মামলা নং ৩২৫/২১) দায়ের করেন।
মাহমুদা মামলায় উল্লেখ করেন, তাকে বিয়ে করে ৮ মাস সংসার করেছেন এই নারী। এসময় একাধিকবার মাহমুদা তাকে ঘরে তুলে নিতে বলেন। এতে রাজী না হয়ে সুমেল বলেন এটা কিভাবে হবে যদি তোমাকে ঘরে তুলি তাহলে তো সবাই জানবে আমি বিবাহিত আর আমার রাজনীতি শেষ হয়ে যাবে।
আমার ক্যারিয়ার ধ্বংস হয় যাবে। তার কথার আর তাকে চাপ দেইনি। এখন তিনি বিয়ে অস্বীকার করে নিজেকে অবিবাহিত দাবি করছেন।
এরপর মাহমুদা একাধিকবার সাংবাদিকদের কাছে তার উপর নানাভাবে নির্যাতন হয়েছে বলে দাবি করেন এবং তাকে কিছুদিন আগে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলেও জানান।
মনির খাঁন সুমেল মামলার এজাহারে উল্লেখ্য করেন, তিনি একজন ব্যবসায়ী। উপজেলার তারাব হাঁটিপাড়া এলাকার মনির হোসেনের মেয়ে মাহমুদা আক্তার উশৃঙ্খল ও খারাপ প্রকৃতির। মাহমুদা রহমান সুকৌশলে সুমেলের ছবি সংগ্রহ করে ছবিতে নোটারি স্থাপন করে ভূয়া কাবিননামা তৈরী করে বিয়ের রেজিস্ট্রেশন করেন।
মাহমুদা রহমান তার নিজ নামে ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সুমেলের নামে অপ-প্রচার চালিয়ে তার মান সম্মান ক্ষুন্ন করছে। মাহমুদা রহমান তার কাছে নগদ ১০ লাখ টাকা দাবী করে।
তার দাবিকৃত টাকা না দিলে মিথ্য মামলা দিয়ে সুমেলকে জেল হাজতে পাঠাবে বলে হুমকি ধামকি প্রদান করে এবং বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে।