নৌ-শ্রমিকদের নুন্যতম মজুরী ২০ হাজার টাকা ও ১১ দফা দাবী আদায়সহ নৌ-শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন নৌ-শ্রমিক ঐক্য পরিদষ। শনিবার (১৮ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব ভবনের সামনে নৌ-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সাথে ৫টি সংগঠনের সমন্বয়ে ওই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মানবববন্ধনে নৌ-শ্রমিক নেতা মো. জাহাঙ্গীর আলম বেপারীর সভাপতিত্বে ও সবুজ শিকদারের পরিচালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন, শেখ মো. ওমর ফারুক, মাহমুদ হোসের, আনিসুর রহমান প্রমূখ।
মানববন্ধনে বক্তারা দাবী করেন, নৌ-শ্রমিকদের নুন্যতম মজুরী ২০ হাজার টাকা ও ১১ দফা দাবী আদায়সহ নৌ-পথে চাঁদাবাজী, ডাকাতী, ছিনতাই ও নৌ-পুলিশ কর্তৃক নৌ-শ্রমিকদের বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন ও সংগঠনের মেম্বারশীপ কার্ড নিয়ে যাওয়া ও বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকদের নামে হয়রানী মূলক মামলা বন্ধ ও মাষ্টার ড্রাইভার শীপ পরীক্ষায় অনিয়ম দুর্ভোগ বন্ধের দাবী জানান।
বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ কার্গো ট্রলার বাল্কহেড শ্রমিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিকলীগ, বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নসহ ট্রলার (বাচ্চহেড) শ্রমিক ইউনিয়নের সমন্বয়ে ওই দাবী জানানো হয়।
নৌ-শ্রমিক নেতারা বলেন, নৌপুলিশ আমরা মনে করি আমাদের গর্ব ও নৌপথের সম্পদ। কিন্তু তাঁরা আজ বিপরীতমুখী রূপ ধারন করেছে। শীতলক্ষ্যা বুড়িগঙ্গা, মেঘনা, সুরমা সহ বাংলাদেশের অন্যান্য নদীগুলিতে চলাচলরত বা থেমে থাকা নৌযান গুলির শ্রমিকদের জিজ্ঞাসা করলে জানতে পারবেন, কিভাবে শ্রমিকদের মামলা মোকদ্দমা ভয় দেখিয়ে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে। কাগজপত্র দেখার নাম করে এবং কখনো কখনো আটকে রেখে চাঁদাবাজি করছে।
তারা আরও বলেন, শুধু তাই নয় নৌপুলিশের কিছু অসাধু ব্যক্তি জনমানবহীন নিরব নিস্তব্দ এলাকায় নদীতে চলন্ত নৌযানে চড়াও হয়ে বা হানা দিয়ে জলদস্যুদের ন্যায় নৌশ্রমিকদের মেম্বারশীপ কার্ড বা সদস্য কার্ড ছিনিয়ে নিচ্ছে। এতে করে নদীপথে নৌশ্রমিকদের ভিতরে এবং সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দের মনে ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে, আঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। অচিরেই এভাবে চলতে থাকলে নৌপথ অশান্ত হয়ে উঠবে। নৌপুলিশ হওয়ার পূর্বে সিলেট থেকে ঢাকা আসতে ২/৩ হাজার টাকা লাইন খরচ লাগতো। আর এখন ২৫/৩০ হাজার টাকা লাগে আজ দুঃখসহ বেদনা নিয়ে নৌপথ চলছে। এই অসহনীয় বেদনা থেকে শ্রমিকরা মুক্তিচায়।
তারা বলেন, আমরা নৌপুলিশের এই অত্যাচার থেকে নির্যতিন থেকে মুক্তি চাই এবং অভিলম্বে কাগজপত্র দেখার নামে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে, মামলার ভয় ও শ্রমিকদের আটকে রেখে টাকা পয়সা আদায় বন্ধ করতে হবে এবং চলন্ত নৌযানে হানা দিয়ে শ্রমিকদের ইউনিয়ন সদস্য কার্ড বা মেম্বারশীপ কার্ড ছিনিয়ে নেওয়া বন্ধ করতে হবে, না হয় আগামীতে নৌপথ শান্তির জন্য শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য বৃহত্তর আন্দোলন শ্রমিকরা শুরু করিলে আমরা দায়ী থাকিব না।