ইংল্যান্ড দলের বর্তমান অবস্থাটা এমন- উইকেট যাবে যাক, তবুও আক্রমণাত্মক মনোভাব ছাড়ব না! সাধারণত ক্রিকেট ম্যাচে দ্রুত উইকেট পড়তে দেখলে দলের পরবর্তী ব্যাটাররা ধীরস্থিরভাবে খেলে থাকেন। ক্রিজে থিতু হয়ে এরপর আস্তে আস্তে খোলস ছেড়ে মারমুখী হয়ে ওঠেন তারা। কিন্তু ইংল্যান্ড দল এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। যার ফলও তারা পেয়েছে, চলমান অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেও জয়ের কাছাকাছি গিয়ে তার পথ হারিয়েছিল। সেই ধারায় খেলতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের তোপে পঞ্চম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৮৩ রানেই অলআউট হয়ে গেছে ইংলিশরা।
ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে চতুর্থ টেস্টে বেশ দাপুটে অবস্থানে ছিল স্বাগতিক দলটি। সেই সময় অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা বৃষ্টির জন্য প্রার্থনার কথা প্রকাশ্যে বলতেও ছাড়েননি। ঠিক সেটাই হলো- প্রায় দুদিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় বেন স্টোকসদের আর জয় পাওয়া হয়নি। ফলে ভেস্তে গেছে তাদের সিরিজ জয়ের স্বপ্নও। চার ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে আছে।
ওভালে আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে শুরু হয়েছে সিরিজের শেষ ও পঞ্চম টেস্ট। যেখানে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ব্যাট করতে নেমে ভালো সূচনা পেয়েছিল ইংলিশরা। ওপেনিং জুটিতে জ্যাক ক্রাউলি এবং বেন ডাকেট তাদের ৬২ রান এনে দেন। এরপরই হোঁচট খাওয়া শুরু! দলীয় ৬২, ৬৬ ও ৭৩ রানে তারা একে একে দুই ওপেনার ও অভিজ্ঞ জো রুটকে হারায়। তিন ব্যাটার শিকার হয়েছেন তিন অজি বোলার কামিন্স, মিচেল মার্শ ও জশ হ্যাজলউডের।
এর আগে ক্রাউলি ২২ ও বেন ডাকেট ৪১ রান করেন। রুট বিদায় নিয়েছেন মাত্র ৫ রানে। মঈন আলীর (৩৪) বিদায়ে ১০৮ বলে তার সঙ্গে হ্যারি ব্রুকে ১১১ রানে জুটি ভাঙে। এরপর অবশ্য একটু রয়ে সয়ে ব্যাটিং করেন ব্রুক। তখন পর্যন্ত ইংল্যান্ডের রানরেট ছিল পাঁচের ওপরে।
তবে ২১২ রান তুলতেই ২৮ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। ব্রুক একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকলেও অধিনায়ক বেন স্টোকস (৩), উইকেটরক্ষক জনি বেয়ারস্টোকে (৪) দ্রুত বোল্ড করে ফেরান স্টার্ক ও হ্যাজলউড। হঠাৎ চাপে পড়া ইংল্যান্ডকে আরেকটি বড় ধাক্কা দেন স্টার্ক। নিজের দ্বিতীয় শিকার হিসেবে তিনি ব্রুককেও ফেরান। ৯১ বলে ১১টি চার এবং দুই ছক্কায় ৮৫ রান করন ব্রুক।
শেষদিকে দুই টেল-এন্ডার ক্রিস ওকস ও মার্ক উড কিছুক্ষণ লড়াইয়ের চেষ্টা চালান। তাদের জুটিতে আসে ৪৯ রান। টড মারফির ঘূর্ণিতে এরপর বোল্ড হয়ে ফেরেন ২৯ বলে ২৮ রান করা উড। এরপর স্টার্কের গতিতে ৩৬ বলে ৩৬ রান করা ওকসও বিদায় নেন। ৫৪.৪ ওভারে ২৮৩ রানেই গুটিয়ে যায় ইংলিশদের ইনিংস।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নিয়েছেন স্টার্ক। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন হ্যাজলউড ও মারফি। এছাড়া কামিন্স ও মার্শ একটি করে উইকেট নেন।