প্রয়োজনে জুট সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লাল পতাকা নিয়ে রাজপথে নামা হবে বলে জানিয়েছেন পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিকেএমইএ’র সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান।
তিনি বলেন, জুট সন্ত্রাসী যদি আমার বাবাও হয় ছাড় দেওয়া হবে না।
নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সভায় মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বাধঁন কমিউনিটি সেন্টারে ব্যবসায়ীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ কথা বলেন সেলিম ওসমান। এ সময় নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে জুট সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন।
সেলিম ওসমান বলেন, হরতালের বিরুদ্ধে ২০০০ সালে আমরা সাদা পতাকা নিয়ে রাজপথে নেমে ছিলাম। লাখ লাখ মানুষের সমাগম হয়ে ছিল। কোন রাজনৈতিক সমাবেশে এতো মানুষ হয় না। এখন অনেক ব্যবসায়ীর বুক ফাটছে কিন্তু বলতে পারছে না। তাই আমি বলছি, বর্তমানে কিছু উশৃঙ্খল ছেলে-পেলের জন্ম হয়েছে এই নারায়ণগঞ্জে। সেখানে আবার নেতৃত্ব দেওয়া হয়। সেই নেত্রীকে বলা হয় হাম্মাজান। হাম্মাজান যেই হোক না কেন, কোন অবস্থায় কোন ব্যবসায়ীর ক্ষতি করা যাবে না। আরেকটা আছে ভাইজান গ্রুপ। মটোরসাইকেল দেওয়া হয়, কে, কবে, কোথায় থেকে মটোরসাইকেল কিনলো, কিভাবে মটোরসাইকেল রাস্তার মধ্যে নামে। কিভাবে বিভিন্ন কারখানায় কারখানায় জুট ব্যবসার সৃষ্টি হয়! দেখেন। নতুন নতুন গাড়ি কোথা থেকে আসে, তদন্ত করেন।’
সেলিম ওসমান আরও বলেন, ‘আমি এখনও মরি নাই। ওটা যদি আমার বাপও হয়, কোন রকমের ছাড় দেওয়া হবে না। আপনারা সরাসরি বলতে না পারলে লিখিত ভাবে অভিযোগ বিকেএমইএ ও নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের কাছে জমা দিবেন। কারখানা গুলোতে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা রাখবেন। সেই ২০০০ সালে যে ভাবে শক্ত হয়েছিলেন, সেভাবে শক্ত হন। সাদা পতাকা না, এবার প্রয়োজনে লাল পতাকা নিয়ে আপনাদের সাথে বের হবো। আমরা এত গুলো মানুষ একত্রিত হলে এমন কোন মায়ের বেডা জন্মাইছে, তারা বাহাদুরি করবে। নারায়ণগঞ্জে সন্ত্রাস করবে। মটোরসাইকেল বাহিনী চলবে না। সে যদি আমার বাপও হয়, তাহলেও ছাড় দেওয়া হবে না। কোন রকমের ছাড় নাই। কেউ কোন দিন বলবেন না ওসমান পরিবারের সদস্য। হাতের পাচ আঙ্গুল যেমন এক হয় না। ওসমান পরিবারের ৫টা আঙ্গুলও আলাদা আলাদা রকমের আছে, সবগুলো এক সমান না। সুতরাং, আপনাদের ভয়ের কোন কারণ নাই।
এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, ‘এখান থেকে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে আহ্বান করবো, আমার নারায়ণগঞ্জের মানুষ এই কষ্টে থাকতে পারবে না। তারা লম্বা লম্বা চুল রেখে, মটোরসাইকেল দিয়ে গিয়ে, আমার ফ্যাক্টুরীর ভিতরে প্রবেশ করে আমার মালিককে ধমকা ধমকি করবে। আমার জুটের দাম নির্ধারণ করবে। কারা তারা, ব্যবস্থা নিন।’
নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জের সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এড. হোসনে আরা বাবলী, সাবেক সংসদ সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী, বিকেএমইএ‘র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, ক্লথ মার্চেন্টস সমিতির সভাপতি প্রবীর সাহা, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরশের্দ সারোয়ার সোহেল, বিকেএমইএ‘র সাবেক সহ-সভাপতি (অর্থ) জিএম ফারুক, ইয়ান মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এম সোলাইমান, পরিচালক ফারুক বিন ইউসুফ পাপ্পু, পরিচালক শাহাদাত হোসেন সাজনু ও এহসানুল হক নিপু প্রমুখ।