নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, ষড়যন্ত্র এখনও শুরু হয়নি, কেবল হাওয়া বইছে৷ তবে ষড়যন্ত্র শুরু হলে নারায়ণগঞ্জ হবে তার ক্ষেত্র৷ আমি দায়িত্ব নিয়েই বলছি৷ ২০০১ সালে প্রথম বোমা হামলাটা নারায়ণগঞ্জেই হয়েছিল৷ খন্দকার মোশতাকের বংশধররা আবারো খেলছে৷ আমি অবাক হয়ে দেখছি৷ গত কয়েকদিন আগে বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুনকে ছুরি মারা হয়েছে৷ এর আগে সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির এক কর্মীসভায় বোমা, ককটেল ফুটানো হয়েছে৷ যদি কোন জায়গায় বিস্ফোরক দ্রব্য ফোটে, সাংবাদিকদের কথা যদি সত্যি হয় তাহলে কোথেকে এ বিস্ফোরক আসলো সে খোঁজ নেয়া দরকার৷ সে খোঁজ কতটুকু নেয়া হয়েছে সে ব্যাপারে আমার সন্দেহ আছে৷
জাতীয় শ্রমিক লীগ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যেগে শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়কে অবস্থিত লা-ভিস্তা রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির শামীম ওসমান এসব কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, মামুন সাহেবকে পল্টনে মেরে ফেলার জন্য ছুরিকাঘাত করলো৷ আল্লাহর হুকুমে জনগণের সহযোগিতায় উনি বেঁচে গেলেন৷ পত্রিকায় দেখলাম, জুয়েল নামে একটা ছেলে ধরা পড়লো, সে স্বীকারোক্তি দিলো৷ স্বীকারোক্তি দেয়ার পর বিএনপির শীর্ষ সন্ত্রাসী ফতুল্লার মিঠু যে অনেকগুলি মানুষ মেরেছে তার ছেলে গ্রেফতার হলো৷ তাদের কথার পরিপ্রেক্ষিতে দেখা গেলো ওই এলাকার সাবেক এমপি যে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাবস্থায় আমাদের ৫ জন মানুষকে সরাসরি হত্যা করেছিল তার ছেলে এবং তারা জড়িত হয়ে মামুনকে মারার চেষ্টা করেছে৷
তিনি আরও বলেন, আমি অবাক হয়ে দেখলাম, এই ব্যাপারটা খুঁজে বের করার আগেই একটা অনলাইন নিউজপেপার বললো, এই ঘটনায় তৃতীয় পক্ষ জড়িত আছে৷ সুতরাং আগের থেকেই প্রস্তুতি সম্পন্ন৷ মামুন মরলে নারায়ণগঞ্জে আরেকটা ত্বকীর ঘটনা সাজানো যায়৷ কিন্তু তাদের কপাল খারাপ, মামুন মরে নাই৷ পত্রিকার মাধ্যমে বেরিয়ে এসেছে, গিয়াসউদ্দিন, তার ছেলেরা এবং ইকবালসহ আরও কারা কারা যেন এ ঘটনার সাথে জড়িত৷ ওরা তো বিএনপি করে, ওদের তো এতো ক্ষমতা থাকার কথা না, পেছনে ব্যাকআপ কে দেয়৷
জেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক আব্দুল কাদিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জি এম আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মাহমুদা মালা, মহানগর সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মো. জুয়েল হোসেন রাসেল আহমেদ প্রমুখ।