নারায়ণগঞ্জ থেকে পাঁচটি রুটে বন্ধ হয়ে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ লঞ্চ চলাচল আবারও চালুর দাবি করেছে বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশন। আগামী ১৮ এপ্রিলের মধ্যে চালুর অনুমতি না দেওয়া হলে অবস্থান ধর্মঘট পালন করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক মো. সবুজ শিকদার বুধবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণাদেন। পাশাপাশি সেখান থেকে দেশের ব্যাপক ক্ষতি হবে ও সরকারের সুনাম মারাত্মক ভাবে নষ্ট হবে বলে জানান।
২০২১ সালের ৪ এপ্রিল একই রুটে লঞ্চ দূর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ৩৪ জনের। সর্বশেষ গত ২০ মার্চ নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষা নদীর কয়লাঘাট এলাকায় একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবে ১০ জনের মৃত্যু হয়। এতে নারায়ণগঞ্জ থেকে চাঁদপুর, মতলব, রামচন্দ্রপুর, সুরেশ্বর ও মুন্সিগঞ্জে চলাচল করা যাত্রীবাহী ছোট লঞ্চ গুলো ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে বন্ধ করে দেয় বিআইডব্লিউটিএ। পরিবর্তে সমুদ্রে চলাচলকারি একটি সি ট্রাক চালু করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সবুজ সিকদার বলেন, বিগত দিনে এই রুটের লঞ্চ গুলো কাঠবডির তৈরি ছিল। তত্বকালিন সরকার লঞ্চগুলো ষ্টীল বডিতে তৈরি করার জন্য সময় বেঁধেদেন। কিন্তু বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ কোন সময়সীমা না দিয়ে লঞ্চ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন। যাত্রীবাহী লঞ্চ গুলো হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে ট্রলার যুগে সাধারণ যাত্রীরা শীতলক্ষ্যা, ধলেশ্বরী ও মেঘনা দিয়ে চলাচল করছে। অন্যদিকে লঞ্চের কর্মচারীরা মানবেত জীবন যাপন করছে।
মো. সবুজ শিকদার বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যান্ত জনবান্ধব ও শ্রমিকবান্ধব। তিনি বিষয়টি বিবেচনা করে লঞ্চ গুলো চলাচলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিবে এবং ১৮ তারিখের মধ্যেই একটি সু-ব্যবস্থা করা হবে। না হলে সারা বাংলাদেশের আন্দোলন চলবে। এতে দেশের ব্যাপক ক্ষতি হবে এবং সরকারের সুনাম মারাত্মক ভাবে নষ্ট হবে। তখন আমাদের সংগঠন ও আমাদেরকে কেউ দায়ি করতে পারবে না।’
এ সময় বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি মো. মঈন মাহামুদ উপস্থিত ছিলেন।