দেশে চালের কোনো অভাব নেই। বর্তমানে সর্বকালের সর্বোচ্চ পরিমাণ সরকারি চাল মজুত আছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, চাল নিয়ে খেলতে যাবেন না। আগুনে হাত দেবেন না, তাহলে হাত পুড়ে যাবে।
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে বৃহস্পতিবার সকালে এ কথা বলেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
দেশব্যাপী খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ও নগরের চাষাঢ়ায় ওএমএস কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।
মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, দেশে চালের কোনো অভাব নেই। এ কারণে আমরা এত চাল একসঙ্গে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে ৬০ হাজার মেট্রিক টন, ওএমএস ১ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন করে চাল মার্কেটে ছেড়েছি। এতে চালের বাজারে এ প্রভাব তো পড়বেই। আমরা বলতে চাই, অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে, চাল নিয়ে কোনো খেলা খেললে আমরা সব সময় প্রস্তুত আছি।’
খাদ্যমন্ত্রী জানান, বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে একসঙ্গে ৮১৩ থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার ৩৬০ জন ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আগে একজন ডিলার এক টন পেতেন, এখন তাঁরা বাড়িয়ে প্রত্যেক ডিলারকে দুই টন চাল দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে। প্রতি মাসে ৫০ লাখ পরিবার ৩০ কেজি করে ১৫ টাকা দরে এ চাল কিনতে পারবে।’
এ সময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাখাওয়াত হোসেনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।