সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৬ নং ওয়ার্ডে গতকাল বৃহস্পতিবার নিজেদের আধিপত্য জানান দিতে মতির পালিত আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। আহত বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে তাদের চিকিৎসা চলছে বলে জানা গেছে। হামলায় নেত্বতদেন আওয়ামীলীগের রুহুল আমিন, পাবনা (বাবু), মাইচ্ছা মানিক, জয়নালের ছেলে বুইট্রা রনি, সাজাহানের ছেলে পাগলা মিজান, সম্রাট, জালাল উদ্দিন ওরফে পাগলা জালাল, হাসেমের ছেলে দুলাল, হাসুর ছেলে সালাউদ্দিন মতিউরের ছেলে খোকনসহ আওয়ামী সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আহত করেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মোহন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদল সাবেক সিনিয়র সভাপতি আরিফ, মাহবুব, সবুজ শহীদ সহ আরও ৮/১০ জন। সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী ইপিজেডের ঝুট ব্যবসার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রæপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াসহ এলোপাথারিভাবে ১৫-১৬ রাউÐ গুলিবর্ষণ ও গণমাধ্যম কর্মীরসহ ৮টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে ৬টি মোটরসাইকেল ও ৭-৮টি দোকান। সংঘর্ষে একজন গণমাধ্যম কর্মীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৩০-৩৫ জন আহত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টা থেকে সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত আদমজী এলাকায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও নাসিক ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন গ্রæপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ও বিপুল সংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ, নারায়ণগঞ্জ খানপুর ও স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন, মনির গ্রæপের আল-আমিন, ইকবাল, রবিউল, হাবিব, আরমান, রাসেল, সাকিল, জনি, রতন, ফাহিমসহ ১৪-১৫ জন। সাগর গ্রæপের মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোহন, মানিক, সাবেক সিনিয়র সহ-ভাপতি আরিফ, সদস্য মাহবুব, সবুজ, শহীদসহ ১০-১২ জন।জানা গেছে, আদমজী ইপিজেডের ইউনিভার্সেল নামক গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সাবেক ছাত্রদল নেতা রাকিবুর রহমান সাগর ও ৬নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মনির হোসেনের মধ্যে কয়েকদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে ইপিজেডের ভিতরে সাগর গ্রæপের মোহনকে মারধর করে মনির গ্রæপের লোকজন। এতে দুই গ্রæপের মধ্যে উত্তেজন ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিকেলে ৪ টার দিকে মনির গ্রæপের লোকজন আদমজী ভূঁইয়া মার্কেট ও সাগর গ্রæপের লোকজন অপর পাশে কদমতলী কবরস্থান এলাকায় জমায়েত হয়। দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ উভয় গ্রæপে প্রায় দুই থেকে আড়াইশত লোক একত্রিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। মারামারির খবর পেয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে স্থানীয় একটি অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিক তোফাজ্জল হোসেন মারধরের শিকার হয়ে গুরুতর আহত হন। দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি ও সিদ্ধিরগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাবের অর্থ সম্পাদক জাকির হোসেনের মোটারসাইকেলেও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়। তবে কোন গ্রæপের লোকজন সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। জানতে চাইলে সাবেক ছাত্রদল নেতা রাকিবুর রহমান সাগর বলেন, আওয়ামী লীগের কিছু লোকজনের সঙ্গে আঁতাত করে মনির হোসেন ইপিজেডের ব্যবসা দখল করার চেষ্টা করে আসছে। এরই ধারবাহিকতায় মনির হোসেন, রুহুল আমিন, জহিরুল ইসলাম বাবু ওরফে পাবনা বাবু, মাইচ্ছা মানিক, বুইট্টা রনি, পাগলা মিজান, সম্্রাট, জালাল উদ্দিন, দুলাল, সালাউদ্দিন ও খোকনসহ দুই আড়াইশত লোক অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমাদের ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায়। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর আলম বলেন, ইপিজেডের ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দুইগ্রæপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহীনি গিয়েছিলো। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। কোন পক্ষই এখনো থানায় কোন লিখিত অভিযোগ করেনি।