নারায়ণগঞ্জ সিটি করপারেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী খেলাফত মজলিসের এ বিএম সিরাজুল মামুনের বার্ষিক আয় ৪ লাখ টাকা, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের জসিম উদ্দিনের বার্ষিক আয় ২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌসের বার্ষিক আয় ৮ লাখ ৩০ হাজার ৫৮৬ টাকা ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ’র বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। মনোনয়নপত্রের সাথে জমা দেয়া হলফনামায় তারা এ তথ্য দিয়েছেন।
হলফনামার তথ্যমতে,
এবিএম সিরাজুল মামুন : ইংরেজি সাহিত্যে এমএ পাশ করা এবিএম সিরাজুল মামুনের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ও সোনারগাঁ থানায় ২০১৩ ও ২০১৪ সালের চারটি মামলা রয়েছে। সবকটি মামলাই রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীর জন্য রয়েছে।
অতীতে তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না। তার বার্ষিক আয় চার লাখ টাকা। নগদ টাকার পরিমাণ ২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। ৯৮ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যমানের ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও ৮০ হাজার টাকা মূল্যমানের আসবাবপত্র রয়েছে।
তার নামে যৌথ মালিকানায় তিনতলা ভবন রয়েছে। ওই ভবনের এক-চতুর্থাংশের মালিক তিনি। তার স্ত্রীর নামে ৫২ তোলা স্বর্ণ রয়েছে। তার কোনো ব্যাংক ঋণ বা দায়দেনা নেই।
মো. জসিম উদ্দিন : প্রকৌশলী মো. জসিম উদ্দিন বিএসসি ডিগ্রিধারী। পেশায় ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে বর্তমানে কোনো মামলা নেই ও অতীতেও ছিল না। বছরে তার ব্যবসা থেকে দুই লাখ ৯৫ হাজার টাকা আয় হয়। সম্পদের মধ্যে নিজের নামে ৫.২৫ শতাংশ অকৃষি জমি, একটি নির্মাণাধীন বাড়ি ও স্ত্রীর নামে ১০ ভরি স্বর্ণ রয়েছে। তার কোনো ব্যাংক ঋণ বা দায়দেনা নেই।
মো. রাশেদ ফেরদৌস : চাকরি ও ব্যবসা পেশায় থাকা মো. রাশেদ চৌধুরীর শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিক পাশ। ব্যবসা থেকে তার বার্ষিক আয় ২৩ হাজার ৮৮৬ টাকা ও চাকরি থেকে আয় ৮ লাখ ৬ হাজার ৭০০ টাকা।
তার স্ত্রীর আয় বছরে তিন লাখ টাকা। তার বিরুদ্ধে বর্তমানে কোনো মামলা নেই ও অতীতেও ছিল না। তার নগদ টাকার পরিমাণ ৫ লাখ ৮ হাজার টাকা ও ব্যাংকে আছে ৪২ হাজার টাকা। তার নামে ৬ দশমিক ১২ শতক কৃষি ও ১ দশমিক ৩৩ শতক অকৃষিজমি আছে।
স্ত্রীর নামে একটি ১০৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট রয়েছে। এ প্রার্থীর ঋণের পরিমাণ ১১ লাখ ১৫ হাজার টাকা ও তার স্ত্রীর ঋণের পরিমাণ ১০ লাখ ৪৯ হাজার ৫৪৯ টাকা।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ : দাওরা/মাস্টার্স পাশ মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ পেশায় ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে বর্তমানে কোনো মামলা নেই ও অতীতেও ছিল না।
তার বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা ও নগদ টাকা ১৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। তার ১০ ভরি স্বর্ণ ও এক লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যমানের আসবাবপত্র রয়েছে। তার কোনো ব্যাংক ঋণ বা দায়দেনা নেই।