রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

নাসিক কেন্দ্রীয় কবরস্থান মসজিদের ইমামকে জোরপূর্বক অপসারন, সংঘর্ষের আশংকা

  • আপডেট সময় সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৯.৪৩ পিএম
  • ৪৩ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টারঃ নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মাসদাইর কবরস্হান জামে মসজিদ থেকে আসরের ওয়াক্তে হেফাজতে ইসলামের শতাধিক লোক গিয়ে ইমাম মাওলানা বদর শাহকে জোর পূর্বক অপসারন করেছে।ওই মসজিদে মাগরিবের ওয়াক্তে মুসুল্লীরা প্রতিবাদ করায় হেফাজতে ইসলামের লোকজন পীছু হটেছে।সেখানে যে কোন সময় ওই ঘটনা নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটার আশংকা দেখা দিয়েছে।

জানা যায়,নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর ১২ নম্বর ওয়ার্ডের মাসদাইর এলাকায় কবরস্হান জামে মসজিদটি সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ স্টাফদের বেতন ভাতা, রক্ষনাবেক্ষন করে।সেখানে খতিব হাফেজ মাওলানা ইকরাম হোসাইন খান, ইমাম মাওলানা বদর শাহ, মুয়াজ্জিন মাওলানা জাকারিয়া হোসাইনকে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দেয়ার পর মেধার ভিতিতে নিয়োগ দেয়া হয়।তাদেরসহ সকল স্টাফদেরকে বেতন ভাতাদি সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ প্রদান করে।দেশ থেকে ৫ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারত চলে যান।সারা দেশের কোন কোন মসজিদের ইমাম ও মাদ্রাসার শিক্ষকদের এরপর জোর করে পদত্যাগে বাধ্য করার একটা রীতি শুরু হয়। নারায়ণগঞ্জে ২ সেপ্টেম্বর সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি শুরু হয়। মাসদাইর কবরস্হান জামে মসজিদে গতকাল সোমবার আসরের ওয়াক্তে শতাধিক লোকের একটি বহিরাগত চক্র যায়।তারা নিজেদেরকে হেফাজতে ইসলামী সমর্থক পরিচয় দেয়।মসজিদের ইমাম মাওলানা বদর শাহকে তারা ইমামতি করতে বাধা দেয়। মসজিদে তখন বহিরাগতদের একজন ইমামতি করে।মসজিদের এরপর নিজেদের বলা একটি পত্রে মাওলানা বদর শাহকে পদত্যাগ করার লিখা লিখিয়ে পাঠ করানো হয়।তাকে এরপর মসজিদ থেকে বিতারন করা হয়।এদিকে মসজিদে মাগরিবের ওয়াক্তে হেফাজতে ইসলামের লোকজন আবার কর্তৃত্ত বহাল রাখতে চেষ্টা করে। সেখানে তাদের সাথে আওয়ামীলীগের বেনামাজি জিলানীসহ অনেকে যুক্ত হয়।ওই সময় মসজিদে মুসুল্লী মাসুদ চৌধুরী এবং নাদিম হাসান মিঠু ও অন্যরা গিয়ে প্রতিবাদ করে।ফলে আওয়ামীলীগ ও হেফাজতে ইসলামের লোকজন বিশৃংখলা করা বন্ধ করে।মসজিদে মাগরিবের ওয়াক্তে মুয়াজ্জিন মাওলানা জাকারিয়া হোসাইন ইমামতি করেন।

সিটি কর্পোরেশনের নাম প্রকাশ না করা দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলেন,সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ ইমাম, মুয়াজ্জিনের চাকুরী কিংবা ইস্তফা বিষয়ক কর্তৃপক্ষ।কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী মসজিদের ইমামকে জোর পূর্বক অপসারন করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত নয়।ইমাম বা মুয়াজ্জিন কোন দোষ করলে কর্তৃপক্ষকে অবগত করলে ব্যবস্হা নেয়া হবে।মসজিদে আসর নামাজের সময় যা করা হয়েছে–তা ইসলাম ধর্ম এবং কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ কোনভাবেই সমর্থন করে না।এটা সরাসরি বিশৃংখলা। এগুলো থেকে সকলকে বিরত থেকে সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে।মসজিদের মুসুল্লী আব্দুল হক বলেন ,মসজিদের নিয়মিত মুসুল্লী ও কবরস্হানের নিয়মিত জিয়ারতকারীদের নিকট মাওলানা বদর শাহ জনপ্রিয়।বহিরাগতরা আকস্মিক ভাবে যা করেছে–তা বিশৃংখলা।আগামীতে এহেনাবস্হার পুনরাবৃত্তি ঘটলে পরিনাম ভালো হবে না।যারা বিশৃংখলাকারী-তারা সম্ভবত রক্ত চায়? আসরের ওয়াক্তে ইমামের বিরুদ্ধে অবস্হানকারী একজন বলেন,মেয়র আইভী বরখাস্ত হয়েছে।তার নিয়োগকৃত কেউ থাকতে পারবে না।আমরা মসজিদে নামাজের ইমামতির দায়িত্ব গ্রহন করেছি।কেউ বাধা দিলে প্রতিরোধ করা হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort