নারী প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক দিবসে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার্স নেটওয়ার্ক ও মায়ের ডাক নারায়ণগঞ্জ ইউনিট।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসুচি পালন করা হয়।
হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার্স নেটওয়ার্ক ‘মায়ের ডাক’ ও মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ নারায়ণগঞ্জ ইউনিটির সমন্বয়ক সাংবাদিক বিল্লাল হোসেন রবিনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মর্গ্যান স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক ও অধিকারকর্মী মোহাম্মদ কবির উদ্দিন চৌধুরী, ডা. খায়রুজ্জামান গাজী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিন এর নারায়ণগঞ্জ সমন্বয়ক এস এম বিজয় প্রমুখ।
মানববন্ধনে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক দিবসে মায়ের ডাক ও হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারর্স নেটওয়ার্কের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, মানবাধিকারকর্মী আমির হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ না হওয়া, অকার্যকর বিচার বিভাগ, পুলিশ প্রশাসনের দুর্নীতি, সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় এবং রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় অপরাধীরা ক্রমাগত দায়মুক্তি পেয়ে যাওয়ার কারণে বর্তমানে বাংলাদেশে নারীদের প্রতি সহিংসতা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। নারীরা পারিবারিক সহিংসতা, যৌতুক সহিংসতা, এসিড নিক্ষেপ, ধর্ষণ, যৌন হয়রানিসহ বিভিন্ন ধরনের সহিংসতা এবং বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এছাড়া বাল্য বিবাহের কারণে অনেক মেয়ে শিশুর মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। বাংলাদেশে নারীদের প্রতি সহিংসতার পাশাপাশি গুমের শিকার
ব্যক্তিদের পরিবারের নারী সদস্যদের ওপর বিভিন্ন ধরনের নিপীড়ন চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা গুমের শিকার ব্যক্তিদের আত্মীয়স্বজনদের প্রতি ‘প্রতিশোধমূলক কর্মকান্ড দ্রুত বন্ধে বাংলাদেশের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
অধিকার ও মায়ের ডাক গুম হওয়া ব্যক্তির পরিবারের নারী সদস্যদের ওপর নিপীড়ন বন্ধসহ সমাজে নারীর প্রতি সকল সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানাচ্ছে।
নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধের লক্ষ্যে মায়ের ডাক ও হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারর্স নেটওয়ার্কের সুপারিশ হচ্ছে-
গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের নারী সদস্যদের ওপর নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে, বিচার বিভাগকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে ও নারীর প্রতি সহিংসতার মামলাগুলো দ্রæত বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে, নারীর প্রতি সহিংসতার মামলাগুলো রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যাহার করা যাবে না, প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মাধ্যম, পাঠ্যবইসহ সর্বস্তরে দীর্ঘকালীন সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে এবং সহিংসতার শিকার নারী ও সাক্ষীর নিরাপত্তার জন্য আইন করে তার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।