রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন

নারায়ণগঞ্জে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প এর অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২১, ৩.৫৩ এএম
  • ২১৭ বার পড়া হয়েছে

‘জাটকা ইলিশ ধরবো না দেশের ক্ষতি করবোনা’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প এর জেলা পর্যায়ের অবহিতকরণ কর্মশালা নারায়ণগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার জালকুড়িতে যুব উন্নয়ন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা মৎস কর্মকর্তা আয়নাল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তর ঢাকা বিভাগের উপ পরিচালক মো. জিল্লুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বাসনা আক্তার, নারায়ণগঞ্জ জেলা তথ্য কর্মকর্তা সিরাজউদ্দৌলা খান, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড নারায়ণগঞ্জের পাগলা স্টেশন কমান্ডার আশমাদুল ইসলাম।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা মৎস্য দপ্তরের সহকারী পরিচালক শওকত আলী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প এর সহকারী পরিচালক সামসুল আলম পাটোয়ারী। সঞ্চালক হিসেবে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা মৎস্য দপ্তরের মৎস্য জরিপ কর্মকর্তা শাহ মো. ফারুক হোসেন।

কর্মশালায় মৎস্য অধিদপ্তর ঢাকা বিভাগের উপ পরিচালক মো. জিল্লুর রহমান বলেছেন, ইলিশ মাছের মধ্যে ২৫ ভাগ প্রোটিন পাওয়া যায় যা অন্য কোন মাছে পাওয়া যায়না। ইলিশ মাছের মধ্যে অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড রয়েছে যা উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা দূর করে।

এছাড়াও ইলিশ মাছ লোনা পানি ও সাদু পানিতে থাকতে পারে যা অন্য কোন মাছ পারেনা। বিশে^র প্রায় ৮০ ভাগ ইলিশ বাংলাদেশে উৎপাদন হয়। এজন্য ইলিশ মাছ বাংলাদেশের জিআই পণ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে। জিডিপিতে ইলিশের অবদান ১% এর বেশী।

বাংলাদেশে যদি জাটকা মাছ না ধরা হতো তাহলে ইলিশ মাছ ২০০/৩০০ টাকা কেজিতে পাওয়া যেতো। তাই ইলিশের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে আমাদের দেশের প্রচলিত আইন মেনে চলতে হবে। ইলিশ সম্পদ উন্নয়নকে ত্বরান্বিত ও গতিশীল করতে হবে। এজন্য আমাদের সবাইকে কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে।

শিল্পবর্জ্যে নারায়ণগঞ্জের মেঘনা নদী দূষণের কবলে পড়ায় ইলিশের উৎপাদন কমে যাচ্ছে বলে কর্মশালায় অবহিত করে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, মৎস্য ব্যবসায়ী ও জেলে প্রতিনিধিগণ তাদের বক্তব্যে ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে নিষিদ্ধকালীন সময়ে জেলেদের বিকল্প উপায়ে জীবিকা নির্বাহের তাগিদ দেন।

এসময় কর্মশালায় জানানো হয়, সোনারগাঁ ও আড়াইহাজার উপজেলার ২৫০টি জেলে পরিবারের মধ্যে বিকল্প কর্মসংস্থান উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। ধাপে ধাপে তা আরো ব্যাপকভাবে করা হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort