স্টাফ রিপোর্টারঃ নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর দ্বিগুবাবুর বাজারে গরু ও ছাগলের গোস্তের দাম বাড়ানো হয়েছে।দ্বিগুবাবুর বাজারের কসাইয়েরা কোন কারন ছাড়াই সাতশ ৫০ টাকার গুরুর গোস্ত সাতশ ৮০ টাকা নির্ধারণ করেছে।আর খাসীর গোস্তের দাম ১১শ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ১১/১২ শ এবং বকরীর গোস্ত নয়শ থেকে বাড়িয়ে এক হাজার টাকা করেছে।বাজারে গতকাল ২৯ জানুয়ারী ক্রেতা সাধারন গিয়ে দাম বাড়ানোর মতো জুলুমে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছে।ক্রেতারা জেলা প্রশাসক ও সিটি কর্পোরেশন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবী করেছে।
নারায়ণগঞ্জের সবচেয়ে বড় মুদি মনোহরী, গোস্ত,মাছ,তরকারীর ব্যবসা কেন্দ্র দ্বিগুবাবুর বাজার।ওই বাজারে ভোর থেকে কোন কোন দিন মধ্য রাতেও হাস,মুরগী,ছাগল,গরুর গোস্ত বিক্রি হয়।বাজারে বছরাধিকাল আগে গরুর গোস্ত সাতশ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো।প্রায় সমসাময়িক সপ্তাহে খাসীর গোস্তের দাম ১১ শ টাকা, বকরীর গোস্তের দাম নয়শ টাকা ছিলো।গত বছরের শবে বরাতের আগে প্রতি কেজি গরুর গোস্তে ৫০ টাকা বাড়ানো হয়। এক কেজি গরুর গোস্তের দাম সাতশ ৫০ টাকা করা হয়।খাসীর গোস্ত ১১ শ টাকা ও বকরীর গোস্ত নয়শ টাকা করা হয়। নগরীর মুসলমান এক বছর ওই দামে গোস্ত কিনতে বাধ্য হয়।কোন কোন দোকানে গরুর গোস্ত সাতশ ২০ অথবা সাতশ ৩০ টাকা কেজিও বিক্রি হতো।আর খাসীর গোস্ত এক হাজার ৫০ টাকাও বিক্রি হয়েছে।
এদিকে বাজারে চলতি বছরের শবে বরাতের আগেই গরুর গোস্তের দাম আবার বাড়ানো হয়।বাজারের দোকানগুলোতে বুধবার সকালে হটাৎ সাতশ ৫০ টাকার পরিবর্তে এক কেজি গরুর গোস্তের দাম সাতশ ৮০ টাকার নির্ধারন করে দামের তালিকা টানানো হয়।খাসী বা বকরীর গোস্তের দাম বাড়ানো হলেও কোন দামের তালিকা ঝুলানো হয়নি।
নগরীর একটি স্কুলের শিক্ষক গোলাম মোস্তফা শাহীন বুধবার গরুর গোস্ত কিনতে গিয়ে কেজিতে ৩০ টাকা বেশি দাবীর শিকার হয়।তিনি বলেন,সোনালী কক মুরগী থেকে শুরু করে সকল প্রকার মুরগীর দাম কমেছে।কিন্তু গরুর গোস্তের দাম কেজিতে ৩০ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে।কসাইদের নিকট আমার মতো শত শত ক্রেতা অসহায় হয়ে গেছি। প্রতি কেজিতে ৩০ টাকা বেশি দিতে বাধ্য হলাম।এটা সরাসরি জুলুম।তার মতে,সকল কিংবা নিয়মিত ক্রেতা দোকানের দামের তালিকা দেখে না।ক্রেতা গোস্ত সংগ্রহ শেষে দাম দেয়ার সময় কসাইয়ের সাথে বাদানুবাদের ঘটনা দেখেছি।গোস্তের দাম সাতশ ৫০ টাকার বেশি যেন নির্ধারন না করা হয়–সেই দাবী জানাচ্ছি। নগরীর মানবিক সংগঠক এডভোকেট আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ বলেন,গোস্তের দোকানীরা ক্রেতাদের সাথে প্রায় প্রতি বছর জুলুম করে।গরু,খাসীর গোস্তের দাম কোন যুক্তিতে বাড়ানো হলো–তা স্পষ্ট নয়।কারন ছাড়া গরুর গোস্ত কেজিতে ৩০ টাকা,খাসী, বকরীরর গোস্ত কেজিতে একশ টাকা বাড়ানোয় মানুষ অসহায়ত্ববোধ করছে।এমন অন্যায় আচরন প্রতিরোধ করা দরকার। দোকানীরা কোন প্রশাসনের সাথে বৈঠক বা সিদ্ধান্ত নিয়ে গরুর গোস্ত কেজিতে ৩০ টাকা,খাসী,বকরীর গোস্ত একশ টাকা বাড়ালো–তা জানতে চাই।প্রশাসন যেন এক টাকাও বাড়াতে না দেয়–সেই সিদ্ধান্ত চাই।একজন ক্রেতা নাম প্রকাশ না করে বলেন, মুরগীর সংকটের অজুহাতে গোস্তের দাম অনেক সময় বাড়ে।কিন্তু সেই দাম স্হায়ি হয় না।সংকট কেটে গেলে বা সরবরাহ স্বাভাবিক হলে দাম আবার কমে। কিন্তু গরুর গোস্তের দাম বাড়লে কোন দিন কমেনি।কারন কি, গরু,খাসীর দাম কি সব সময় বাড়তেই থাকে? কখনো কি গরু,খাসীর দাম কমে না! নগরীর দুই নম্বর গেট ও ডিআইটি জিমখানা এলাকায় সাড়ে ছয়শ টাকা কেজি গরুর গোস্ত বিক্রি করা হচ্ছে।অথচ দ্বিগুবাবুর বাজারে গরুর গোস্ত সাতশ ৮০ টাকা কোন অজুহাতে হলো?
জেলা প্রশাসক ও সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক বৃহস্পতিবারের মধ্যে আগের দাম নিশ্চিত করতে হস্তক্ষেপ করবেন বলে আশা করছি।