নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক এমপি মুহাম্মাদ গিয়াসউদ্দিন আওয়ামীলীগের নেতাদের সমলোচনা করে বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের সরকারি দলের নেতাদের বলেছিলাম আপনারা জরাজীর্ণ মানুষের মত প্রশাসনের ওপর ভর দিয়ে রাজনীতি করেন।
সেকারণেই এ কর্মসূচি যেনো সফল না হয়, সে উদ্দ্যেশ্যে আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি পুলিশ পাঠিয়েছেন। চোখ রাঙিয়ে কথা বলেছেন। আজ চেয়ে দেখুন আপনারা তা পেরেছেন কীনা জিয়ার সৈনিকেরা মাঠে এসেছে আপনারা মাঠে নেই। বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশি গ্রেপ্তার ও হামলা মামলাকে ভয় পায় না।
বিএনপি’র যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে কেন্দ্র ঘোষিত বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদ এবং ১০দফা বাস্তবায়নের দাবিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচি পালন কালে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা গুলো বলেন।
শনিবার ( ১ এপ্রিল ) দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা সাইনবোর্ডস্থ পাসপোর্ট অফিসের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে একজন ব্যক্তি রাজনৈতিক প্রজ্ঞা শিষ্টাচার ধ্বংস করে দিয়ে দিশেহারা হয়ে গেছে। আমাদের আটকে রেখে সে খোলা মাঠে রাজনীতি করতে চায়। আর এটা সে করতে চায় প্রশাসনের ওপর ভর করে।
একজন দুইজন কিংবা হাজারজন নেতাকর্মীদেরও যদি মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে নেয়, আন্দোলন থামবে না। আপনারা থাকবেন মাঠে। এই স্বৈরাচারী সরকারের পতনের মাধ্যমে দেশে আবারও গণতন্ত্র ফিরে আসবে। আগামী দিনে বিএনপির অগ্রযাত্রা কেউ রুখতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, আপনারা কারোও হুমকি ধমকিতে ভয় পাবেন না। আমরা জনগণের জন্য কাজ করি। জনগণ আমাদের পাশে আছে। জনগণকে সাথে নিয়েই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র আমরা গঠন করবো। তারা আজ স্বকীয়ভাবে রাজনীতি করতে পারছে না।
তাই পুলিশ প্রশাসনের ওপর ভর করছে৷ তাদের নিজের রাজনীতি করার ক্ষমতা এখন নেই। এ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করে তাদের ক্ষমতা থেকে হটাতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের যে চেতনা সেই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা কায়েম করতে হবে। ইনশাল্লাহ আমরাই বিজয়ী হবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিশেষ অতিথি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদারের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির শহিদুল ইসলাম টিটু, যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব, জুয়েল আহম্মেদ, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ইউসুফ আলী ভূঁইয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়ক মাজেদুল ইসলাম, সদস্য সচিব কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মনির খন্দকার, ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন শিকদার, রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মাহফুজুর রহমান হুমায়ূন, সভাপতি বাছির উদ্দিন বাচ্চু, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, জেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সহিদুর রহমান স্বপন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শাহ আলম ভূঁইয়া, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ হাসান ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ জিকো, জেলা কৃষক দলের সভাপতি ডা. শাহিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক কায়সার রিফাতসহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ ।