ধর্ষণ মামলায় পঞ্চম দফায় নারায়ণগঞ্জ আদালতে হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেতাসহ আরও দুজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। রবিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে চার্জশিটের ১১ ও ১২ নম্বর সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
সাক্ষ্য দিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহাগ রনি ও রতন মিয়া। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী এড. ওমর ফারুক নয়ন বলেন, মামুনুল হকের বিপরীতে দুজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। সাক্ষীদের জেরার সঙ্গে ঘটনার কোনো মিল পাইনি। তাদের বক্তব্য এলোমেলো। আশা করি আমরা ন্যায়বিচার পাবো। তবে আজ আরও দুজনের সাক্ষ্যগ্রহণের কথা ছিল। তাদের মধ্যে একজন উপস্থিত থাকলেও তার সাক্ষ্য নেওয়া হয়নি। অন্যজন অনুপস্থিত ছিলেন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদ জানান, চার্জশিটের ১১ ও ১২ নম্বর সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। সাক্ষীরা সবাই বলেছেন, মামুনুল হক ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তারা মামুনুল হককে নারীসহ আটক করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) নাজমুল হাসান লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মামুনুল হককে আদালতে আনা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আবার নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছর ৩ এপ্রিল সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করা অবস্থায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাকে ঘেরাও করে। পরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে তাকে নিয়ে যায়। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন তার সাথে থাকা ওই নারী। কিন্তু মামুনুল হক দাবি করেন, ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী।