দেশনেত্রী শেখ হাসিনা আর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ মায়ের বুকের দুধ খেছে বলেই তাদের বুকের শক্তি ও সাহস অনেক বেশি। খুনি জিয়াউর রহমানের পুত্র তারেক জিয়া, আপনি যদি মায়ের বুকের দুধ খেয়ে থাকেন, তাহলে বাংলাদেশে এসে বিএনপির হাল ধরুন। আপনারা যারা বিএনপি করেন, বিএনপির কর্মী ও বিএনপির তারেক জিয়া খেয়েছেন ডানো ডিব্বার দুধ। আর তাই তাদের বুকে সাহস নেই। আওয়ামী লীগ যে কোনো মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিবাদ সভায় অংশ নিয়ে শনিবার (৪ জুন) বেলা ১২টায় এ কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম।
নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা মোস্তাফিজুর রহমান মাছুমের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু, ঢাকা কলেজের সাবেক ভিপি ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ছগীর আহাম্মেদ।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বর্তমানে বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ফখরুল ইসলাম আলমগীর, তার দাদা ও বাবা শান্তি কমিটির লোক ছিলো। এই বিএনপি যারা করছেন, তাদের দাদা, বাবা, ভাই কেউ না কেউ, ওই জামায়াত–শিবিরের পক্ষ থেকে আসছে। জামায়াত–শিবির, রাজাকার এবং শান্তি কমিটি থেকে উঠে আসা সেই সমস্ত লোকেরাই আজকে বিএনপি করে। তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি। স্বাধীনতার পক্ষে যারা রয়েছেন, তারা কখনো বিএনপির করতে পারে না। বিএনপির কুচক্রী এবং কুলাঙ্গারদের আমি মনে প্রাণে ঘৃণা করি। এই বাংলাদেশের কোনো স্থানে তাদের থাকার অধিকার আছে বলে আমি মনে করি না। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগ আর আওয়ামী লীগ জনগণের দল।
তিনি আরও বলেন, খুনি জিয়ার পুত্র, খুনি তারেক জিয়া ২১ আগষ্ট জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা করেছে। সেদিন তাদের উদ্দেশ্য ছিলো আমার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করা। কিন্তু আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের রহমতে আমার নেত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে গিয়েছেন। আর আজ তিনি একজন সুদক্ষ পরিচালক হিসেবে বংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন এই বাংলাদেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, ঠিক সেই সময়ে বিএনপির কুচক্রীরা উঠে পরে লেগেছে। বাংলাদেশের উন্নয়নমূলক কাজ দেখে প্রতি হিংসায় জ্বলছে ওই বিএনপি নেতৃবৃন্দ। যাতে জননেত্রী শেখ হাসিনার দ্বারাতে এ দেশের কোনো উন্নয়নমূলক কাজ না হয়, সেই জন্য বিএনপির কুলাঙ্গাররা আমার নেত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
সমাবেশ শেষে বেলা ১২টার পর নগরীতে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী স্বেচ্ছা সেবক লীগের নেতা রফিকুল ইসলাম মিন্টু, সামসুজ্জামান সামছু, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কায়কোবাদ রুবেল, আল-আমিন প্রমূখ।