কেন্দ্র ঘোষিত বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশী চালিয়েছে পুলিশ। শনিবার (২২ জুলাই) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে এমনই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। তবে এ সময় কাউকে আটক করেনি পুলিশ।
শনিবার (২২ জুলাই) সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত অন্তত তিনটি চেকপোস্টে এ তল্লাশী অভিযান চালানো হয়। তবে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (অফিসার ইনচার্জ) গোলাম মোস্তফা এ অভিযানকে মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধ নিয়ন্ত্রনে নিয়মিত অভিযান বলে দাবি করেন।
তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন সময় মাদকের চোরা চালানসহ নানা অপরাধ সংগঠিত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় আজও আমাদের তল্লাশী চলছে। আমরা কেবল আমাদের দায়িত্ব পালন করছি। এটি আমাদের রুটিনমাফিক কাজ, বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়। আমাদের জেলা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে এই চেকপোস্ট বসিয়েছেন।
যাত্রীদের সড়কে যাতায়াত করতে যেনো কোনো প্রকার সমস্যা না হয় সেজন্যই পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। আমাদের কাউকে সন্দেহ হলে তাকে তল্লাশি করছি। তবে তল্লাশির নামে কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মৌচাক বাসস্ট্যান্ডে ঢাকামুখী বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে। শনিবার ভোর থেকে দূরপাল্লার বিভিন্ন যানবাহন থেকে শুরু করে আঞ্চলিক যানবাহনগুলোকে থামিয়ে তল্লাশী চলছে।
এসময় যাত্রীদের ব্যাগ এবং ব্যক্তিগত গাড়ির ভেতর ও পেছনে ব্যাকডালা তল্লাশি করতেও দেখা যায় পুলিশ সদস্যদের। কিন্তু সড়ক কোথাও কোনো যানজটের সৃষ্টি হতে দেখা যায়নি।
চিটাগাংরোড রোড থেকে গুলিস্তানের উদ্দেশ্যে কোমল মিনিবাসে উঠেছেন পলাশ আহমেদ। তাকে তল্লাশির বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে জানান, দোকানে যাওয়ার জন্যে চিটাগাংরোড থেকে গাড়িতে উঠেছি মৌচাক আসতেই দেখি পুলিশ গাড়ি থামিয়ে আমাকেসহ পুরো গাড়ির যাত্রীদের তল্লাশি করেছেন। কিছু না পেয়ে পরে গাড়ি ছেড়ে দিয়েছেন।
যাতায়াত পরিবহনের এক যাত্রী জানান, পুরো সড়কে আজ পুলিশের চেকপোস্ট দেখলাম। চিটাগাংরোড পার হয়ে এখানে আসতেই অন্যান্য গাড়ির মতো আমাদের গাড়িও থামিয়ে চেক করা হয়েছে। আমার সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করেছেন তারা। তবে আমাদের গাড়ি থেকে কাউকে নামিয়ে দেন নি।