অস্ত্র, বিস্ফোরক, ডাকাতি ও মাদকসহ প্রায় ডজন মামলার আসামি সন্ত্রাসী ও মাদকের ডিলার তারাবো এলাকার আশরাফুজ্জামাম রকি ওরফে রকি খানকে গ্রেপ্তার করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। বুধবার রাত ১০ টায় শিমরাইল মোড় ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের সামন থেকে সিদ্ধিলগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক নূর আলম মিয়া তাকে গ্রেপ্তার করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ডাকাতি ও বিস্ফোরক মামলায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ রকিকে আদালতে প্রেরণ করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হত্যা, ডাকাতি, মারামারি, বিস্ফোরক ও মাদকসহ ডজন মামলার আসামি রকি তারাব এলাকার সবচেয়ে বড় মাদকের ডিলার। সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে রকি এলাকার আতঙ্ক। এলাকার বহু মানুষ রকি বাহিনীর হামলা মারধরের শিকার হয়েছে।
মিলকারখানা ও পরিবহন চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। রাতের আঁধারে পণ্যবাহী গাড়িতে করে তার মাদক আসে বিভিন্ন সীমান্ত জেলা থেকে। তারাব কবরাস্থানের পাশের সাইফিং মিলের অপরপ্রান্তে রড মিলের সামনে থেকে রকি ও তার লোকজন মাদকের চালান খালাশ করে নিয়ে তার নিজের গুদামে।
পরে তা খুচরা মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করা হয়। অনলাইনে মাদক বিক্রির সাথেও সে জড়িত। অস্ত্রবাজ হিসেবেও তার কূ-খ্যাতি রয়েছে। অস্ত্র মাদকসহ তিনি একাধিকবার প্রশাসনের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
গত ২০১২ সালে তারাব টাটকী এলাকায় প্রকাশ্যে ফয়সাল নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করে রকি বাহিনী। মাদক, জুয়া, চাঁদাবাজি টিকিয়ে রাখতে রকি একটি বাহিনী গঠন করে। গত ২০০৮সালে বিএনপির জ¦ালাও পোড়াওয়ের সময় তারাব এলাকায় গাড়িতে আগুন দেয় রকি।
রকি গা বাঁচাতে এখন নাম লিখিয়েছে আওয়ামী লীগে। তার গ্রেপ্তার হওয়ার খবরে এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। ধৃত রকি রূপগঞ্জ থানার তারাব পৌরসভার নয় নম্বর ওয়ার্ডের যাত্রামুড়া এলাকার নেছার খানের ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিদ্ধিলগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক নূর আলম মিয়া জানান, সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকা থেকে অস্ত্র গুলি, ককটেলসহ সাত জন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে।
এসময় আশরাফুজ্জামান রকি ও মারুফ পালিয়ে যায়। এর পর থেকেই তারা পলাতক। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই মামলায় গত বুধবার রাতে শিমরাইল মোড় ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের সামন থেকে রকিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ, রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ৮টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।