তামিম ইকবাল নিজে বলেছেন, তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট জেমি সিডন্স। ২০১১ সালে সিডন্স বাংলাদেশ দলের চাকরি হারানোর পর আবার নতুন দায়িত্ব নিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের। এখন ব্যাটিং পরামর্শকের ভূমিকায় এই অস্ট্রেলিয়ান কোচ। নতুন দায়িত্ব নিয়ে এখনো সেভাবে কাজ শুরু করতে পারেননি সিডন্স। মোটে ৩ সেশন অনুশীলন করালেও সেখানে সবাইকে পাননি জাতীয় দলের আন্তর্জাতিক ব্যস্ততার কারণে।
এর মধ্যে দুই সেশনে বেশ লম্বা সময় কাজ করেছেন তামিমকে নিয়ে। যেখানে বাঁহাতি ওপেনারের ‘ফুটওয়ার্ক’ নিয়েই বেশ কাজ করতে দেখে গেছে। নেট অনুশীলনে ছক কষে বুঝিয়ে দিচ্ছেন, এই লেন্থের বল এদিকে এভাবে খেলতে হবে, এখানে পেলে ঐদিকে খেলতে হবে। কখনো নেটের পিছনে, কখনো সামনে, কখনো পাশ থেকে তামিমের কৌশলগুলো ধরিয়ে দেন সিডন্স। ধরিয়ে দেন সঠিক জায়গা পা নিয়ে খেলার কৌশল।
আজ (শনিবার) চট্টগ্রামের অনুশীলনে অবশ্য ছিলেন না তামিম। তবে সিডন্স কথা বলেছেন তামিমকে নিয়ে। সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তামিমকে নিয়ে তার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার কথা। সিডন্স বলেন, ‘তামিম তার সামনের পা আরও সোজা করতে চায়। এসব বিষয় খুব শিগগিরই হয় না। তবে আমরা দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা করছি। সে যদি আরও ৩ থেকে ৪ বছর খেলা চালিয়ে যেতে চায়, তার সামনের পা আরেকটু সোজা করতে হবে। তা হলে সে আরো সাফল্য পাবে।’
যোগ করেন সিডন্স, ‘তামিম যদি লেগ বিফোর আউট না হয়, তাকে আউট করা খুবই কঠিন। সে আরও অনেক রান করতে পারবে। আমি দেখতে পাচ্ছি, তামিমের সেরা ক্রিকেট এখনো সামনে পড়ে আছে।’
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শুরুতে তামিমের যাত্রাটা বেশ নজরকাড়াই ছিল। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে পোর্ট অফ স্পেনে ভারতের বিপক্ষে ৫১ রানের সেই স্মরণীয় ইনিংস খেলেন। তবে ওই ইনিংসের পর সেভাবে সুবিধা করতে পারছিলেন না। ভারতের বিপক্ষে সেই ইনিংসের পর ১২ ওয়ানডেতে ফিফটি পাননি তামিম। বলা হতো বাঁহাতি এই ওপেনারের হাতে তখন সীমিত কিছু শট ছিল। যাতে প্রতিপক্ষের বোলাররা সহজেই বেধে ফেলতে পারতেন তাকে।
সেখানে থেকে নিজেকে আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছেন যখন কিনা তাকে দেশের সেরা ব্যাটসম্যান মনে করেন অনেকে। বাংলাদেশ ক্রিকেটে ব্যাটিংয়ে প্রায় সব রেকর্ডই তামিমের দখলে। তারকা ক্রিকেটার বললেন, এই পরিবর্তনটা এসেছে সিডন্সের অধীনে।