চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের জন্য ম্যাচটি নিয়ম রক্ষার হলেও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের জন্য তা নয়। প্লে-অফের সেরা দুইয়ে যেতে হলে কুমিল্লার জন্য ম্যাচটি জেতা জরুরি ছিল। শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামকে ৬ উইকেটে হারিয়ে প্রত্যাশিত জয় তুলে নিয়েছে ইমরুল কায়েসের দল। এই ম্যাচ জিতে সাকিবের ফরচুন বরিশালের সঙ্গে সমান ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন নম্বরে অবস্থান করছেন ইমরুলরা।
১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। এই জয়ে টানা ৭ ম্যাচ জিতে কুমিল্লা সিলেট-বরিশালকে পরিষ্কার বার্তা দিয়ে রাখল!
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে ১৫৭ রানের লক্ষ্য দেয় চট্টগ্রাম। সেই লক্ষ্যে খেলতে নেমে ম্যাচটি কঠিন করে ফেলেছিল তিনবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা। ৫৭ রানে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারানোর পর চতুর্থ উইকেটে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও মোসাদ্দেক হোসেন মিলে ৪৭ বলে ৭৬ রানের জুটি গড়েন। তাতেই জয়ের ভীত পেয়ে যায় কুমিল্লা। রিজওয়ান ৪৭ বলে ৬১ রান করে আউট হলেও মোসাদ্দেক ২৭ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন। তার সঙ্গে জাকের আলী ৭ বলে ১০ রান করে অপরাজিত ছিলেন। শেষের তিন ব্যাটারের দৃঢ়তায় ১ ওভার আগে ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইমরুল কায়েসের দল।
ওপেনিং নেমে ১৭তম ওভারে আউট হন রিজওয়ান। ৪৭ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় তার ৬১ রানের ইনিংস কুমিল্লাকে জয় এনে দিতে ভূমিকা রেখেছে। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে তার হাতে।
চট্টগ্রামের বোলারদের মধ্যে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ও জিয়াউর রহমান দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ রানে ২ উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। মেহেদী মারুফ (০) ও খাজা নাফায়ে (২) রানে আউট হন। তবে শুরুর এই বিপর্যয় ভালোই সামাল দেন ওসমান খান ও আফিফ হোসেন। তৃতীয় উইকেটে তারা দুজন ৮৮ রানের জুটি গড়ে বড় স্কোর গড়ার পথটা তৈরি করে দেন। তবে তাদের বিদায়ের পর শুভাগত হোম (১২), কার্টিস ক্যাম্পার (০) ও জিয়াউর রহমান (০) রানে বিদায় নিলে সেটি আর হয়নি। উসমান খানের ৫২ এবং আফিফ হোসেনের ৬৬ রানের পর দরবেশ রসুলের ৯ বলে ২১ রানের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে চট্টগ্রাম ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান করতে পারে।
কুমিল্লার বোলারদের মধ্যে তানভীর ইসলাম ও হাসান আলী দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া সৈকত আলী নেন একটি উইকেট।