জেল থেকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে জাকির এখন তার অনুগামীদের দিয়ে চাঁদাবাজি অব্যাহত রেখেছেন বলে দাবি করেন অ্যাড. তৈমূর আলম খন্দকার।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে শহীদ সাব্বির আলম খন্দকারের ২০ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী স্বরণে ও শহীদ সাব্বিরের খুনিদের সর্ব্বোচ শাস্তি এবং নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত করা এবং ১৮ ফ্রেব্রুয়ারিকে সন্ত্রাস ও মাদক বিরোধী দিবস ঘোষনার দাবীতে শোক র্যালী অনুষ্ঠানে তিনি এ দাবি করেন।
এসময় তৈমুর বলেন, অপারেশন ক্লিনহার্ট শুরু হলে এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের একটি মিটিং হয়। সেখানে ৩২টি ব্যবসায়ী সংগঠনসহ প্রশাসনের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
সেই মিটিংয়ে সাব্বির আলম খন্দকার নারায়ণগঞ্জের কোথায় কার নেতৃত্বে সন্ত্রাস হয়, জাকির খান ও তার সহযোগীরা কীভাবে সন্ত্রাস করে তা সে তথ্য তুলে ধরে। শহরের বিভিন্ন রাস্তায় টানানো জাকিরের ব্যানার, ছবি অপসারণের দাবি জানান সাব্বির।
প্রশাসন এসব সরিয়ে দিতে বাধ্য হয়। তখন থেকেই নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খান বিভিন্নভাবে তাকে হুমকি দিতে থাকে। চাঁদাবাজিই ছিল জাকির খানের পেশা। জাকিরের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ শহরে ঝুট ও মাদক সন্ত্রাস চলতো। সাব্বির ঝুট সমিতির চেয়ারম্যান ছিল। যখনই তার কাছে খবর আসতো সন্ত্রাসীরা ঝুট নিতে এসেছে তখনই সে এটার মোকাবিলা করতো। এসব কারণে সাব্বিরকে খুন করা হয়।
এখন জেল থেকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে জাকির এখন তার অনুগামীদের দিয়ে এ চাঁদাবাজি অব্যাহত রেখেছেন।
তিনি বলেন, কেউ কেউ তাকে (জাকির খান) জনপ্রিয় বলে। কিন্তু কোন ভালো কর্ম আছে তার কিংবা তার পরিবারের? পতিতালয় পরিচালনা ছাড়া তাদের কোনো ভালো কাজ নেই। টানবাজারের পতিতালয়ের মালিক দৌলত খানের ছেলে জাকির।
তার বিরুদ্ধে চারটি হত্যা মামলাসহ ৩১টি মামলা আছে। একটি সন্ত্রাস দমন আইনে তার সাজা হয়েছিল। সেটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সুপারিশে তার সাজা মওকুফ হয়। আরেকটি মামলায় তার সাজা এখনও বহাল রয়েছে।