স্বল্প পুঁজি নিয়েও দুর্দান্ত বোলিংয়ে ফরচুন বরিশালকে হারালো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এ ম্যাচ জিতে জয়ের ধারায় ফিরল তারা। সিলেটে রংপুরের কাছে শেষ ম্যাচ হেরে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান হারিয়েছিল চট্টগ্রাম। বরিশালকে ১৬ রানে হারিয়ে চট্টগ্রাম এখন পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে। সপ্তম ম্যাচে এটি তাদের পঞ্চম জয়।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৫ উইকেটে ১৪৫ রান করে। জবাবে বরিশাল ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রানের বেশি করতে পারেনি। আগের ম্যাচে কঠিন পরিস্থিতিতে গিয়ে বরিশাল ম্যাচ জিতলেও এই ম্যাচে পেরে ওঠেনি।
চট্টগ্রামের জয়ের নায়ক পেসার শহীদুল ইসলাম। ৪ ওভারে ১ মেডেনে মাত্র ১৩ রানের খরচে ৩ উইকেট নেন ডানহাতি পেসার। এ জয়ে লিগ পর্বে দুইবারই চট্টগ্রামকে হারালো চট্টগ্রামে। প্রথম মুখোমুখিতে চট্টগ্রাম ১০ রানে জিতেছিল। আজ জয়ের ব্যবধান আরো বাড়ল।
স্বল্প পুঁজি নিয়ে জয়ের জন্য চট্টগ্রামের শুরুতে উইকেটের প্রয়োজন ছিল। পঞ্চম ওভারে আল-আমিন দলের হয়ে কাজের কাজ করে দেন। তিন বলের ব্যবধানে তার শিকার আহমেদ শেহজাদ ও সৌম্য সরকার। ১৭ বলে ১৬ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন শেহজাদ। সৌম্য জায়গায় দাঁড়িয়ে কাভার ড্রাইভ করতে গিয়ে বল উইকেটে টেনে আনেন। পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে চট্টগ্রাম আরেকটি সাফল্য পায় মেহেদী হাসান মিরাজকে ফিরিয়ে। সেখান থেকে মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবাল প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। কিন্তু, প্রত্যাশামাফিক গতিতে রান তুলতে পারেননি তারা। আটঁসাঁট বোলিংয়ে চট্টগ্রামের বোলাররা তাদেরকে বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি পেতে দেননি। রান তোলায় গতি না থাকায় ব্যাটসম্যানদের ঝুঁকি নিতেই হতো। তা করতেই গিয়ে উইকেট হারিয়েছেন মুশফিক, তামিম, মালিক ও মাহমুদউল্লাহ।
মুশফিক পেসার সৈকত আলীর বল উড়াতে গিয়ে পয়েন্টে ক্যাচ দেন ৯ রানে। তামিমের মন্থর ইনিংস থামে ৪৯ রানে। ৪৬ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় বরিশালের অধিনায়ক ফেরেন শহীদুলের বলে পয়েন্টে ক্যাচ দেন। তামিমকে ফেরানোর ওভারে শহীদুল কোনো রান দেননি। পরবর্তীতে তার শিকার হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৩) ও আব্বাস আফ্রিদি (০)। মূলত এই দুই ওভারেই চট্টগ্রাম ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়।
এর আগে ব্যাটিংয়ে চট্টগ্রামের ইনিংস বড় করেছেন দুই বিদেশি ক্রিকেটার জস ব্রাউন ও টম ব্রুস। ব্রাউন ইনিংসের শুরুতে ঝড় তোলেন। ফিনিশিং টানেন ব্রুস। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ব্রুস ৪০ বলে করেন ৫০ রান। ৫ চার ও ২ ছক্কায় সাজান ইনিংসটি। এছাড়া, ব্রাউন ২৩ বলে ৩৮ রান করেন ১ চার ও ৪ ছক্কায়। স্থানীয় কেউ পারেননি বড় কিছু করতে। তানজিদ ১০, শাহাদাত ১৫ ও সৈকত আলী ১১ রান করেন। অতিরিক্ত খাত থেকে ১৫ রান পেয়েছে চট্টগ্রাম, যা তাদের স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ করেছে বেশ।
চট্টগ্রামের বোলারদের হয়ে মোহাম্মদ ইমরান ৩১ রানে পেয়েছেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন সাইফ উদ্দিন, আব্বাস আফ্রিদি ও তাইজুল ইসলাম।