বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আব্দুস সালাম আজাদ বলেছেন, এই জনবিচ্ছিন্ন সরকারের কোন অবস্থান নেই। আমরা যখনই কোন সভা সমাবেশ করতে যাই তখনই আমাদেরকে বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। চট্টগ্রামের যে ঐতিহাসিক গনসমাবেশে গিয়েছে এই সরকার পুলিশ এবং গুন্ডাবাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছেন।
ময়মনসিংহের সমাবেশেও যানবাহন বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু নিরস্র সাধারণ মানুষগণ পায়ে হেঁটে সেই সমাবেশে যোগদান করে সফল করেছিলেন। আবারও ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আগামী শনিবার খুলনাতে ঐতিহাসিক সমাবেশ কে বন্ধ করার জন্য তারা পায়তারা করছে।
আজকে রাত থেকে তারা হরতাল কর্মসূচি দিয়েছেন এবং যানবহন চলবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু আমরা বলতে চাই আপনারা পরিবহন বন্ধ করেন রেল বন্ধ করেন কিন্তু তারপরও সমাবেশ বন্ধ করতে পারবেন না।
কিন্তু বাংলাদেশের জনগণকে আর বন্ধ করতে পারবেন না তারা সকল সমাবেশ সফল করবে। জনগণ জেগে উঠেছে তারা রাস্তা নেমে পড়েছে তাদেরকে আর ফেরাতে পারবেন না। এই দখলদার সরকারের পতন অনিবার্য ।
সারাদেশে ধরপাকড়, মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার, জামিন বাতিল করে নেতাকর্মীদের কারাগারে প্রেরণ, পুলিশি হামলা ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নির্যাতনের অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) বিকেল তিনটায় শহরের চাষাড়া শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা গুলো বলেন।
সালাম বলেন, আপনারা দেখেছেন আবারো একটি প্রহাসনের নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশনারকে বলেছি যতই ষড়যন্ত্র করুন আর আপনাদের টিকে রাখুক। কিন্তু আপনাদের অধীনে কোন নির্বাচন আর বাংলাদেশের মাটিতে হবে না।
তিনি আরও বলেন, আজকে দেশকে বাঁচাতে হবে কারণ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে গেছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া। বিএনপির নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করা। এ সকল করে বাকশালী কায়দায় শেখ হাসিনা আজীবন এদেশের ক্ষমতায় থাকতে চায়।
আজকে এদেশের বহু দলীয় গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় শাসনতন্ত্র কায়েম করা হচ্ছে। যারা বাংলাদেশে বাকশাল কায়েম করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা করতে চায় আমরা বলে দিতে চাই এ বাংলাদেশের মাটিতে আপনাদের বিচার করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে।
তিনি সরকারের সমালোচনা করে এড. আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, এ খুনি ও লুটের সরকারের মাথায় ভুত চেপে উঠেছে গত কয়েকদিন আগে একজন সচিবকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তিনজন এসপিকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। এখন আমলারাও এই সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে নেমেছেন। সচিবদের মতো বিদ্রোহ শুরু হয়েছে এবং পুলিশের মধ্যেও শুরু হয়েছে।
এই স্বৈরাচারী দখলদার সরকারকে কেউ আর টিকিয়ে রাখতে চাচ্ছে না। তাই আসুন আমরাও ঐক্যবদ্ধ হোই। আগামীতে আর কোন প্রহাসনের নির্বাচন বাংলাদেশের মাটিতে হতে দেওয়া হবে না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমাদের নেতা জননেতা তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে আছি এবং থাকবো।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আব্দুস সালাম আজাদ, বিশেষ অতিথি মহানগর বিএনপির উপদেষ্টা বর্ষীয়ান বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিন কালু, আনোয়ার হোসেন খান।
আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নাছির উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান, ফতেহ রেজা রিপন, আনোয়ার হোসেন আনু, এমএইচ মামুন, কার্যকরী সদস্য এড. রফিক আহমেদ, রাশিদা জামাল, হাবিবুর রহমান দুলাল, ডা. মুজিবুর রহমান, সাখাওয়াত ইসলাম রানা, কামরুল ইসলাম চুন্নু সাউদ, ফারুক হোসেন, মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, মাহমুদুর রহমান, হাবিবুর রহমান মিঠু, বরকতউল্লাহ, হুমায়ুন কবীর কবির, মাসুদ রানা, শাহিন আহমেদ, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম হিরন, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল, মহানগর যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি নাজমুল হক রানা, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি শাহেদ আহমেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি রাফি উদ্দিন রিয়াদ, সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান বাবু, মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম, মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, মহানগর তাঁতীদলের সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিবুর রহমান সাগর, মহানগর জাসাসের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাধীনসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।