ছোট-বড় (সিনিয়র-জুনিয়র) দ্বন্দ্ব ছিল। নিহত মামুনের বন্ধু শফিকলের দাবি ‘সেই দ্বন্দ্বেই খুন হয়েছে মামুন’।
ইসদাইর স্টেডিয়াম সংলগ্ন নুর ডাইংয়ের পেছনের মাঠে এই খুনের ঘটনায় মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) এক নারীসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে মামলা করেন নিহতের বাবা বাবুল হাওলাদার। অজ্ঞাত আসামী করা হয় আরও ৫ জনকে।
এদের মাঝে অভিযুক্ত ২ জনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-ইসদাইর এলাকার এড. হাসনাতের বাড়ীর ভাড়াটিয়া ইসমাইল হোসেনের পুত্র মো. সামিউল ওরফে বুলেট (২২) ও ইসদাইর বাজার এলাকার সিরাজ কসাইয়ের পুত্র স্বপন (২০)।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, মামলার এজাহারনামীয় গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামীর মধ্যে প্রথমে সামিউল ওরফে বুলেট গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সহায়তায় সোমবার রাতে স্বপনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদেরকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
নিহত মামুনের বন্ধু শফিকুল জানান, কোরবানী ঈদের পূর্বে ছোট-বড় (সিনিয়র-জুনিয়র) দ্বন্দ্ব নিয়ে মারামারি হয় সাইফুল গ্রুপের সাথে। সে সময় স্থানীয় বড় ভাইয়েরা মিমাংসা করে দেয়। ৫ নভেম্বর বিকালে নুরনবীর সাথে দোকানে বসে থাকা নিয়ে সাইফুলদের কথা কাটাকারি হয়। ঘটনার পর শফিকুলকে ফোন করে বাসার নিচে আসে মামুন। পরক্ষনেই আসে তাঁদের বন্ধু নুর নবী। এর কিছুক্ষন পরেই সাইফুলের নেতৃত্বে পায়েল, জয়, সাদসহ ১০ থেকে ১৫ জনের একটি দল হামলা করে। এ পর্যায়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে দুজনই মারাত্নক আহত হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে খানপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মানুষকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আশংকাজনক অবস্থায় নুরনবীকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
আহত নুরনবী সাংবাদিকদের জানায়, বিকেলে সাইফুলদেরকে বকাঝকা করে মাঠ থেকে তাড়িয়ে দেয় নিহত মামুন। এনিয়ে সাইফুল-পায়েল গ্রুপের লোকজন মামুন ও তাকে পেয়ে ছুরিকাঘাত করে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু জানান, হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। এজাহারনামীয় দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জড়িত অপর আসামীদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।