প্রথম তিন ওভারে ব্যাটসম্যানদের কাছে চার-ছক্কা হজম করলেও যুজবেন্দ্র চাহাল হলেন নায়ক। নিজের শেষ ওভারে হ্যাটট্রিকসহ ৫ উইকেট নিয়ে রাজস্থান রয়্যালসকে জয়ে ফেরালেন এই স্পিনার। কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৭ রানে হারিয়ে দুইয়ে উঠল দলটি। ৬ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট রাজস্থানের।
জস বাটলারের সেঞ্চুরি ছাপিয়ে শ্রেয়াস আইয়ার নায়ক হওয়ার সব বন্দোবস্ত করেছিলেন। কিন্তু তাতে বাধা দেন যুজবেন্দ্র চাহাল। প্রথম ৩ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে ১ উইকেট নেওয়া এই বোলার নিজের শেষ ওভারে বল করতে এসে হিসাবনিকাশ ওলটপালট করে দিলেন।
২১৮ রানের লক্ষ্যে ১৬ ওভার শেষে কলকাতার স্কোর ৪ উইকেটে ১৭৮ রান। শেষ চার ওভারে দরকার ৪০ রান। কলকাতার দিকে ঝুলে থাকা ম্যাচটি হঠাৎ ঘুরে যায় রাজস্থানের দিকে। ১৭তম ওভারের প্রথম বলে ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে স্টাম্পিংয়ে ফেরান চাহাল। তারপর ওই ওভারের চতুর্থ বলে থামান শ্রেয়াসকে, রিভিউ নিয়েও জীবন বাঁচাতে পারেননি কলকাতা অধিনায়ক। ৫১ বলে ৭ চার ও ৪ ছয় ৮৫ রানে আউট তিনি। পরের দুই বলে শিবম মাভি ও প্যাট কামিন্সকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক করেন চাহাল। রাজস্থানের জার্সিতে পঞ্চম ক্রিকেটার ও আইপিএলের ২১তম হ্যাটট্রিক করেন ৩১ বছর বয়সী লেগস্পিনার।
১৮তম ওভারে উমেশ যাদব ব্যাট হাতে ২০ রান তুলে ফের ম্যাচের নাটাই তুলে দেন কলকাতার হাতে। তাতে শেষ ২ ওভারে ১৮ রানের সহজ লক্ষ্য দাঁড়ায় তাদের সামনে। কিন্তু প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা আর ওবেড ম্যাককয়ের ওভারে প্রয়োজনীয় রান নিতে পারেনি দল। ম্যাককয় শেষ ওভারে শেলডন জ্যাকসন ও উমেশকে ফিরিয়ে কলকাতাকে ১৯.৪ ওভারে ২১০ রানে গুটিয়ে দেন।
৪ ওভারে ৪০ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন চাহাল।
সুনীল নারিন প্রথম বলেই রান আউট হলে কলকাতাকে দারুণ শুরু এনে দেন অ্যারন ফিঞ্চ ও শ্রেয়াস। দুজনের ১০৭ রানের জুটি ভাঙে নবম ওভারে। তারপর কলকাতা অধিনায়কের ব্যাটে স্বস্তি ফিরলেও সব আলো কেড়ে নিলেন চাহাল। এর আগে বাটলারের ১০৩ রানের ইনিংসে রাজস্থান ৫ উইকেটে ২১৭ রান করেছিল।