গত বছরই আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে জ্যাকলিনের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আসে। ২০০ কোটি টাকার প্রতারণা এবং আরও ২০টি আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় নাম জড়ানো চন্দ্রশেখর এখন দিল্লির রোহিণী জেলে বন্দি।
চন্দ্রশেখরের সঙ্গে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলায় নাম আসার পর থেকেই তুমুল আলোচনায় রয়েছেন অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ। সম্প্রতি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দায়ের করা একটি চার্জশিটে অভিনেত্রীকে আসামি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনগুলো থেকে বোঝা যায়, জ্যাকলিন সুকেশ চন্দ্রশেখরের দ্বারা এতটাই বিশ্বাসী এবং প্রভাবিত হয়েছিলেন যে অপরাধ প্রকাশের পরেও অভিনেত্রী তাঁর সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রেখেছিলেন।
পুলিশের বিশেষ কমিশনার (ইওডাব্লিউ) রবিন্দর যাদব এ বিষয়ে বলেন, ‘জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের জন্য আরও সমস্যা তৈরি হয়েছে। কারণ তিনি সুকেশ চন্দ্রশেখরের অপরাধমূলক পূর্ব কর্মকাণ্ড জানার পরও তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেননি।’
অনেক ধনদৌলত থাকায় বলিউডের অভিনেত্রীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করতেন সুকেশ। এই ফাঁদে জড়িয়ে পড়েন জ্যাকলিনও। সুকেশের কথায় এই নায়িকা এতটাই প্রভাবিত হন যে, তাকে বিশ্বাসও করতে শুরু করেন। সেই সূত্রেই সুকেশকে ‘কাছের মানুষ’ ভাবেন জ্যাকলিন। তাকে বিয়ে করার কথাও ভাবেন।
এর আগে ইডির চার্জশিটের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জ্যাকলিন ‘পিএমএলএ’র আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে একটি আবেদন করেছিলেন, যেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘কিছু উপহার গ্রহণের জন্য তাকে দোষ দিয়ে অপরাধী বানানো উচিত নয়।’ তিনি সুকেশ চন্দ্রশেখর দ্বারা প্রতারিত ছিলেন, এটাও স্পষ্ট করে জানান।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ দিল্লির মন্দির মার্গ অফিসে হাজির হয়েছিলেন। তার সঙ্গে পিঙ্কি ইরানিও ছিলেন। পিঙ্কিই চন্দ্রশেখরের সঙ্গে এই অভিনেত্রীর পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। এই মামলায় দিল্লি পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ শাখা তাকে ৮ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জেরা করে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে জ্যাকুলিন অভিনীত একটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। এর নাম ‘বিক্রান্ত রোনা’। কন্নড় ভাষার এই সিনেমায় তাকে অতিথি চরিত্রে দেখা গেছে। বর্তমানে তার হাতে রয়েছে ‘সার্কাস’ ও ‘রাম সেতু’ সিনেমার কাজ।