চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কার পারফরম্যান্সের ব্যবধান গড়ে দিল অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের সেঞ্চুরি। বোলিংয়ে ধারাবাহিকতার অভাবে ভোগা টাইগাররা এদিন লঙ্কানদের ৪ উইকেট তুলে নিয়েছে। তাতে লড়াইয়ের বার্তা মিললেও দিন শেষে এগিয়ে থাকল সফরকারীরা। ম্যাথিউসকে ফেরানো গেলে সাগরিকার উইকেট বিবেচনায় দিনটা হতো স্বাগতিকদের।
প্রথন দিনের খেলা শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কা দলের সংগ্রহ ২৫৮ রান। নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের ১২তম শতক তুলে নিয়ে ১১৪ রানে অপরাজিত আছেন ম্যাথিউস। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের সঙ্গে ৭৫ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটিতে ৩৪ রানে অপরাজিত আছেন দীনেশ চান্দিমাল। বাংলাদেশের হয়ে নাঈম হাসান ২, সাকিব আল হাসান আর তাইজুল ইসলাম সমান ১টি করে উইকেট নেন।
দিনের প্রথম সেশনে দাপট না দেখালেও স্বস্তিতে ছিল বাংলাদেশ দল। ৭৩ রানে তুলে নিয়েছিল প্রাতিপক্ষের ২ উইকেট। দ্বিতীয় সেশনে ব্যাট হাতে রাজত্ব লঙ্কানদের। কোনো উইকেট না হারিয়ে এই সেশনে তারা জমা করে ৮৫ রান। সাকুল্যে ২ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান নিয়ে তৃতীয় সেশন শুরু করে সফরকারীরা। যেখানে কুশল মেন্ডিস এবং ম্যাথিউস সমান ৫৪ রানে অপরাজিত থেকে দিনের তৃতীয় ও শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নামেন।
অবশ্য চা বিরতি থেকে ফিরেই সফলতার দেখা পায় বাংলাদেশ দল। এই সেশনের প্রথম বলেই মেন্ডিসকে ফেরান তাইজুল। বাঁহাতি স্পিনারের করা শর্ট বলটি স্পিন করে বেরিয়ে যাচ্ছিল। অনায়াসেই হতে পারত বাউন্ডারি। মেন্ডিস চেষ্টা করলেন লেগে ঘুরাতে, ঠিক মতো পারলেন না, মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ নিলেন নাঈম। ৫৪ রানে ফিরলেন মেন্ডিস, ভাঙল ২০৯ বল স্থায়ী ৯২ রানের জুটি।
এরপর সহজ ক্যাচ যেমন ছেড়েছে বাংলাদেশ দলের ফিল্ডাররা, তেমনি মিলেছিল হাফ চান্স। তবে সেসব সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি মাহমুদুল হাসান জয়, লিটন দাসরা। ক্যাচগুলো তালু বন্দি করলে দিনটা খেলা থাকত বাংলাদেশের নামে!
চতুর্থ উইকেটে ম্যাথিউসের সঙ্গে জুটি জমানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। এই জুটিতে বিপদ বাড়াতে দেননি সাকিব। ইনিংসের ৬৬তম ওভারে বাঁহাতি স্পিনারের চমৎকার এক ডেলিভারিতে বিদায় করে নেন ধনাঞ্জয়া। পা বাড়িয়ে ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন, ঠিক মতো পারেননি, ব্যাটের কানা ছুঁয়ে প্যাডে লেগে ক্যাচ যায় স্লিপের দিকে। প্রথম স্লিপ থেকে কিছুটা সামনের দিকে এগিয়ে ঝাঁপিয়ে মুঠোয় নেন জয়। ধনাঞ্জয়া ফেরেন ৬ রানে।