ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে সারা দেশের মতো নারায়ণগঞ্জেও বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। ভোর থেকেই এতে ভোগান্তিতে পড়েন অফিসগামী লোকজন ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকেই বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় নগরীর অনেক এলাকার রাস্তা। কোনো কোনো সড়কে পানি জমে যায়। সড়কে রিকশাও ছিলো কম। গণপরিবহনও চাহিদা অনুযায়ী মেলেনি।
ফলে কর্মস্থলের উদ্দেশে বেরিয়ে অনেকেই বিপাকে পড়েন। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে কর্মজীবীদের যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। দোকানপাটও খুলতে দেরি করেন ব্যবসায়ীরা। বেচাবিক্রিও তেমন নেই।
সরেজমিনে নগরীর চাষাড়া, দুই নং রেলগেইট, নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ ও বাস টার্মিনাল, কালীরবাজার, নিতাইগঞ্জ ঘুরে দেখা যায় একটানা বৃষ্টির কারণে নগরের মানুষ আজ খুব একটা ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। যারা একেবারেই বাসা থেকে বের না হয়ে পারছেন না তারাই ছুটছেন এই বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে।
বৃষ্টির কারণে সড়কে যানবাহনের সংখ্যা অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক কম। লোকজন গণপরিবহনের জন্য সড়কে দাঁড়িয়ে আছেন। যারা ছাতা নিয়ে বের হননি, তারা ভিজে যাচ্ছেন।
বৃষ্টির কারণে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশাচালকের আজ অতিরিক্ত ভাড়া চাইছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
ফতুল্লায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন অপূর্ব আহমেদ। তিনি থাকেন শহরের খানপুরে। বৃষ্টির কারণে সকালে অফিসে যেতে তাঁর প্রায় দেড় ঘণ্টা দেরি হয়। সকালে অফিসের জন্য বেরিয়ে গাড়ি পাচ্ছিলাম না।
পরে প্রায় দ্বিগুণ ভাড়ায় সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা ভাড়া করে অফিসে যাই। টাকাও গেল, অফিসেও দেরি হলো।
দুই নং রেলগেইট এলাকায় কথা হয় নির্মাণ শ্রমিক শহিদুল্লাহর সাথে। তিনি জানান, নির্ধারিত জায়গায় বসে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করছেন, তবে কোন ঠিকাদাররা আসেনি। তার জন্য তার আর কাজে যাওয়া হয়নি।
আব্দুল বারী নামের অপর এক শ্রমিক বলেন, দিন আনি দিন খাই, হাতে কোন টাকা নেই। আগামীকালও এরকম আবহাওয়া থাকলে না খেয়ে থাকতে হবে পরিবার পরিজনকে নিয়ে।
এদিকে সকাল ১০টায় চাষাড়া মার্কেটের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন পানোমারা মার্কেটের ব্যবসায়ী রাজু আহমেদ । অপেক্ষা করছেন কর্মচারীর জন্য। তিনি বলেন, দোকানপাটে এমনিতেই বেচাকেনা কম। আজ সকাল থেকেও বৃষ্টি হচ্ছে। দোকান খুললেও কাস্টমার আসছে না।