শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:২৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে জেলা বিএনপি’র বিক্ষোভ সমাবেশ

  • আপডেট সময় বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ৩.৪৯ এএম
  • ২০৯ বার পড়া হয়েছে

নেতাকর্মীদের উপর হামলা, দলীয় কার্যালয়ে পুলিশি অভিযান, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি।

মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে ফতুল্লা পাসপোর্ট অফিসের সামনে ওই বিক্ষোভ সমাবেশ করেন নেতাকর্মীরা। এ ফতুল্লা থানার পুলিশের একাধিক টিম বিক্ষোভস্থলে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন।

বিক্ষোভ সমাবেশে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও জেলা যুবদলের আহবায়ক গোলাম ফারুক খোকনের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, এই দেশেরে গণতন্ত্র যখন বিপন্ন, মানুষ যখন বিপন্ন তখন বিএনপি বিভিন্ন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছে। বিগত ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণসমাবেশ হয়েছে। এর আগে সারাদেশে বিভাগীয় সমাবেশ হয়েছে। আমাদের ঢাকার সমাবেশের ১দিন আগে বিএনপির মহাসচিব মির্জ ফকরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এই অগণতান্ত্রিক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে আজ এখানে সমবেত হয়েছি। আপনারা নারায়ণগঞ্জ থেকে যারা সমাবেশ নিয়ে ঢাকায় উপস্থিত হয়েছেন তাদের আমি ধন্যবাদ জানাই। মহান মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম এই দেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য, এই দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য, মানুষের বাক স্বাধীনতা অর্জন করার জন্য। বিগত ১৪ বছরে এই সরকার যেমন ভাবে দেশের গণতন্ত্রকে শেষ করেছে, তেমনি ভাবে এই দেশে ধন-সম্পদ লুট করেছে।

তিনি আরও বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) আজকে এমনভাবে দুনির্তীগ্রস্থ এখন মানুষ তাদের বিশ্বাস করে না, তারা ক্ষমতায় থাকুক মানুষ চায় না। মানুষ তাদের থেকে মুক্তি চায়। আজ মুক্তির ডাক দিয়েছে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজকে শুধু বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরাই এই আন্দোলনে অংশগ্রহন করছে না, এই আন্দোলনে সাধারণ মানুষও অংশ গ্রহন করছে, তারা আমাদের আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ছে। এই সরকারের লোকজন মুক্তিযুদ্ধের কথা বলেন, আদর্শের কথা বলেন কিন্তু আপনাদের লুন্ঠনের জন্য আপনারা মুক্তিযুদ্ধের কথা আর আদর্শের কথা ভুলে যান। আপনারা শুধু নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য, নিজেদের অর্থবিত্ত কুক্ষিগত করার জন্য গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করেছেন, রাস্ট্রীয় ব্যবস্থাকে বিপন্ন করেছেন। রাজনৈতিক ভাবে আপনারা জনগণকে ভয় পান, বিএনপিকে ভয় পান। সেই কারণে আজকে আপনারা ভিত। কারণ আপনারা রাজনীতিকে মোকাবেলা করতে পারেন না। আমরা জনগণের সামনে তাদের অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করছি, আপনার যদি পারেন তাহলে তাদের সামনে গিয়ে এভাবে কথা বলেন। কিন্তু আপনারা পারেন না, কারণ জনগণ আপনাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তাই আপনারা সন্ত্রাসীর পথ বেছে নিয়েছেন, প্রশাসনকে ব্যবহার করে গণতন্ত্রকে নষ্ট করছেন।

সাবেক এমপি বলেন, আমরা গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের বক্তব্য দেশেবাসীর কাছে তুলে ধরছি। স্বতঃস্ফূর্তভাবে দেশবাসী সেটা গ্রহন করে আসছে। প্রশাসন জনগনের টাকায় বেতন পেয়ে জনগণের জন্য কাজ করবে, কিন্তু আজ তাদের অন্যায় কাজে নীতি নৈতিকতা শেষ করে দিচ্ছেন। তাদের ব্যবহার করছে। তাদের এমন অবস্থা করছেন যে তারা আজ জনগনের বিপক্ষে গিয়ে সমালোচনার শিকার হচ্ছে। প্রশাসনকে বলবো আপনাদের ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য আপনারা এগুলা পরিত্যগ করবেন। জনগণের অধিকার আদায়ে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার জন্য সহযোগীতা করবেন। আমরা যেখানে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করবো সেখানে আপনারা শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার চেষ্টা করবেন। আপনারা আমাদের সহযোগীতা করবেন আমরাও আপনাদের সহযোগীতা করবো।

তিনি আরও বলেন, আমরা চাই মানুষের অধিকার আদায় করতে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নিয়ে, গণতান্ত্রিক আন্দোলন করে এই সরকারের দমন, পিড়ন, নীতি যেটা হত্যা করা হয়েছে সেটা পূণউদ্ধার করবো। আমাদের নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কিভাবে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে সেই আদর্শ শিখিয়ে দিয়ে গেছেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াও সেই আদর্শ শিক্ষা দিয়েছে। আমাদের নেতা জননেতা তারেক রহমান দেশের বাহিরে থেকে গনতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের জন্য, শন্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করার জন্য আমাদের পথ নির্দেশনা করে যাচ্ছেন। তাই আমরা শান্তি প্রিয়ভাবে সকল আন্দোলন করতে চাই।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম টিটু, মাশুকুল ইসলাম রাজিব, লুৎফর রহমান খোকা, জুয়েল আহম্মেদ, ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন শিকদার, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ রিয়াদ চৌধুরী, জেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সহিদুর রহমান স্বপন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম, বিএনপি নেতা ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইকবাল, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মন্টু মেম্বার, জেলা মহিলা দলের সাবেক সভাপতি নুর নাহার বেগম প্রমুখ।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort