নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব এবং বর্তমান কমিটির প্রথম যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার মামলায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের ছোট ছেলে গোলাম মোঃ কায়সার ওরফে রিফাতসহ ৭ জনকে অভিযুক্ত করে ঢাকা মেট্টোপলিটন আদালতে চার্জশীট দেওয়া হয়েছে। পল্টন থানার এসআই জাহিদ হোসেন তদন্ত শেষে অতি সম্প্রতি এই চার্জশীট আদালতে জমা দেন।
চার্জশীটে প্রধান আসামী করা হয়েছে মামুন মাহমুদকে ছুরিকাঘাত করা ঢাকার বাসাবো এলাকার রতন মীরের ছেলে জুয়েল মীর ওরফে পাগলা জুয়েলকে। ২ নম্বর আসামী করা হয়েছে সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের ছেলে গোলাম মোঃ কায়সার ওরফে রিফাতকে। মামলার অন্য আসামীরা হলো, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র দলের সহ সভাপতি দিদার আলম সিদ্দিকী ওরফে সাগর সিদ্দিকী, ফতুল্লার নূর হোসেন হৃদয়, জেলা বিএনপির সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার, সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনের ব্যক্তিগত সহকারি পল্টু কর্মকার এবং নাসিকের ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন।
গত বছরের ২৫ এপ্রিল রাতে ঢাকার নয়াপল্টনের ব্যক্তিগত অফিসে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বের হলে কস্তুরি হোটেলের সামনে তাকে জুয়েল মীর ওরফে পাগলা জুয়েল ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতার হাতে আটক হয়। আটক জুয়েল পুলিশকে জানায়, দলীয় কোন্দলের জেরে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনের ছেলে গোলাম মোঃ কায়সার ওরফে রিফাতের নির্দেশে সে মামুন মাহমুদকে ছুরিকাঘাত করে। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, এ হত্যা চেষ্টার সঙ্গে আরও অনেকে নানা ভাবে জড়িত।
জানতে চাইলে অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, ঘটনার পর আমার স্ত্রী বদরুন নাহার শুধু ঘটনাস্থল থেকে আটক জুয়েলকে একমাত্র আসামী করে পল্টন থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশের তদন্তে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের নাম উঠে আসে।
জানতে চাইলে বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলে, আমার ছেলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।