বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা সন্ত্রাসে বিশ্বাস করি না, বিশৃঙ্খলায় বিশ্বাস করি না। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাস করি। নারায়ণগঞ্জে একটা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ যেভাবে গুলি চালিয়েছে একটা স্বাধীন দেশে তা চলতে পারে না। গণতন্ত্রের ও গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য প্রাণ দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের শাওন। তিনি যুবদলের কর্মী। এর চেয়ে বড় পরিচয় তিনি এদেশের একজন নাগরিক। তাকে পুলিশ এভাবে গুলি করে মারতে পারে না।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা নবীনগর এলাকায় নিহত শাওনের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, পুরো রাষ্ট্রকে সরকার নরকে পরিনত করেছে। কথা বলার অধিকার নেই। বললেই গুম করা হচ্ছে, খুন করা হচ্ছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে বহু মায়ের বুক খালি হয়েছে। একদিন না একদিন এইসব হত্যার বিচার হবেই।
পুলিশের গুলিতে নিহত যুবদল নেতা শাওনের পরিবারের হাতে এক লাখ টাকা অনুদান তুলে দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পরে নিহত শাওনের কবর জিয়ারত করেন তিনি।
এসময় যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ বিভিন্নস্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালিতে পুলিশ বাধা দিলে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় শাওন।
শাওন ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের পূর্ব গোপালনগর এলাকার মৃত সাহেব আলীর ছেলে। অসচ্ছল পরিবারের ৪ ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন শাওন। তিনি স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করতেন।
শাওনের মৃত্যুর কিছুক্ষণ পর যুবদলের মিছিলে সামনের সারিতে থাকা শাওনের একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায়, চেক টি-শার্ট পরা শাওন মিছিলের অগ্রভাগে আছেন। টি-শার্টে একটি সানগ্লাস ঝুলানো। তার পাশে ছিল কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য সাদিকুর রহমানসহ অন্যরা।