মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

খোকন সাহারা যখন হুলিয়া প্রাপ্ত হয়, তখন বুঝি মোস্তাকেরা কতটা সক্রিয়: শামীম ওসমান

  • আপডেট সময় রবিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২২, ৪.০৩ এএম
  • ১৭৮ বার পড়া হয়েছে

কৃষকলীগের মিটিংয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিষ্কার ভাবে বলেছেন, বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে দেশ ও দেশের বাইরে। এই ষড়যন্ত্ররে সাথে জড়িত বিএনপি, জামায়াত ও স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি, জড়িত কামাল হোসেন, মান্নান সাহেবরা, কমিউনিস্ট পার্টি, বাসদ টাসদ আরও অনেকে। এইটা আমার বক্তব্য না, এইটা জাতির পিতা শেখ হাসিনার বক্তব্য। আমার বক্তব্য হচ্ছে, কামাল হোসেন, মান্নানরা আমাদের সামনে কোন কঠিন ব্যাপার না। সমস্যা হচ্ছে ঘরের ভিতর মোস্তাকের বংশধর। বঙ্গবন্ধুকে অন্য কেউ মারতে পারে নাই, দরজা কিন্তু খুলে দিয়েছিলো খন্দকার মোস্তাকেরা।

নগরীর চাষাড়ায় বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স ভবনের শনিবার (২৩ এপ্রিল) বিকালে একটি ইফতার মাহফিলে কথা গুলো বলছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।

তাঁর ভাষ্য, ‘নারায়ণগঞ্জে যখন দেখি ২৬ বছরের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা মামলার হুলিয়া প্রাপ্ত হয়, তখন বুঝি মোস্তাকেরা কোন না কোন ভাবে সক্রিয় আছেন।’

শামীম ওসমান বলেন, মির্জা আব্বাস সাহেব বলেছেন ঈদের পরে নাকি দেখাবেন আন্দোলন কত প্রকার ও কি কি আর কি ভাবে হবে। আমরা এইটার জন্যই অপেক্ষা করতেছি। আমরা তো ছোট বেলার খেলোয়ার। আপনারা কবে খেলতে নামবেন বলেন? আমরতো বলেছি খেলা হবে এবং আমরা খেলবো ইনশাআল্লাহ। তবে, আমি আমার দলের কাছে, আমার নেত্রীর কাছে একটা আহবান জানাই, দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো। আমি মনে করি আমাদের প্রস্তুতির সময় আসছে। সামনেই আঘাত আসবেই। এই আঘাত সরকার ফেলে দেয়ার আঘাত হবে না। এই আঘাত হবে বাংলাদেশকে ধ্বংস করার আঘাত।

করোনাকালীন সময়ের কথা উল্লেখ করে শামীম ওসমান বলেন, কয়েকটা বছর আগে আমরা কি কল্পনা করতে পেরেছিলাম এইখানে একসাথে বসে ইফতার করতে পারবো। আমি এই দৃশ্য ভাবিনি। বারবার ফোন করেছে, ভাই চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। আকুতি করেছি মিনতি করেছি, ডিজি হেলথ এর কাছে বলেছি, এমনকি রাত ২টার সময় প্রধানমন্ত্রীর অফিসে ফোন করে প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব, সচিব মহোদয়কে বলেছি একটা আইসিউ খুব দরকার। কে রোগী, সেটা দেখিনি। একটা করে রোগী ঢুকাতে পেরেছি, আর শুকুরানা দুই রাকাত নফল নামাজ পরেছি। আর যখন খবর পেয়েছি ওই রোগী বের হয়ে এসেছে তখন আবার দুই রাকাত শুকুরানা নফল নামাজ আদায় করেছি। ভয়াবহ একটা পরিবেশ গেছে। প্রথম দিকে সবাই ভয় পেয়ে গেছে। একটা মানুষ ভয় পান নাই। কারণ তিনি আল্লাহর উপরে অগাদ বিশ্বাস রাখেন। আমি তাকে ব্যক্তিগত ভাবে ৪২ বছর ধরে চিনি। একটা মাকে যেমন সন্তান চেনে, আমিও তাকে চিনি। সৃষ্টি কর্তার উপর যে বিশ্বাস কিভাবে জাগাতে হয়, সেটা আমি অনেকাংশে তার কাছে শিখেছি। যেটা আমার মা-বাবা আর বড় ভাই তারপরে আর একজন মানুষ, তার নাম হচ্ছে জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort