ভোরে বাজারে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে খালের মধ্যে রক্তমাখা একটি বস্তা দেখতে পান পথচারীরা। সবার মাঝে তৈরি হয় আতঙ্ক। অল্প সময়ের মধ্যে কয়েক শত মানুষ বস্তাটি দেখতে ভিড় জমান। পরে পথচারীদের মধ্যে একজন থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে বস্তাটি উদ্ধার করে। পুলিশ রক্তাক্ত বস্তার মুখ খুলে দেখতে পায় বস্তার মধ্যে রয়েছে জবাইকৃত মুরগির উচ্ছিষ্ট অংশ। এরপর থেকে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ হলই পট্টি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রামের কৃষকসহ সাধারণ মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয়ের উদ্দেশ্য হলই পট্টি গ্রামের সড়কটি ব্যবহার করে নাগেরপাড়া বাজারে যায়। সকালে বাজারে যাওয়ার সময় পথচারীরা খালের মধ্যে রক্ত মাখা একটি বস্তা ভাসতে দেখে। এক পর্যায়ে বস্তাটি দেখতে পথচারী ও গ্রামবাসীরা ভিড় জমায়। পরে পথচারীদের মধ্যে একজন গোসাইরহাট থানা পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে বস্তাটি উদ্ধার করে। উদ্ধারের পর বস্তাটি খুলে দেখা যায় বস্তার মধ্যে জবাইকৃত মুরগির উচ্ছিষ্ট ভর্তি। প্রথমে পঁচা দুর্গন্ধে পথচারীরা মরদেহ ভেবে ভীত হয়ে পড়েছিলেন। পরে বস্তা থেকে জবাইকৃত মুরগির উচ্ছিষ্ট বের হলে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়।
পথচারী নয়ন দাস বলেন, ভোরে খবর পাই রক্তাক্ত একটি বস্তা পাওয়া গেছে খালের মধ্যে। ঘুম চোখে প্রথমে ভয় পেয়ে যাই। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি পুলিশ এসেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বস্তাটি উদ্ধার করে দেখতে পায় বস্তার মধ্যে জবাইকৃত মুরগীর উচ্ছিষ্ট। পরে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়।
বিষয়টি নিয়ে গোসাইরহাট থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আরশাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভোরে জানতে পারি যে হলই পট্টির খালের মধ্যে বস্তার মধ্যে মরদেহ পাওয়া গেছে। কিন্তু ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তাটি উদ্ধার করে দেখতে পাই তাতে জবাইকৃত মুরগির উচ্ছিষ্টে ভরা। প্রথমে পথচারী ও গ্রামবাসী মরদেহ ভাবলেও পরে বিষয়টি নিয়ে হাস্যরস তৈরি হয়। বস্তাটি খালের মধ্যেই চাপা দেওয়া হয়েছে, যাতে দুর্গন্ধে মানুষের কষ্ট না হয়।