রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়েছে।
রোববার (২৩ জুন) সন্ধ্যা ৭টায় খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ম্যাডামের হৃদরোগের সমস্যা আগে থেকেই ছিল। হার্টে ব্লকও ধরা পড়েছিল। সেখানে একটা রিং লাগানো ছিল। সব কিছু পর্যালোচনা করে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কিছুক্ষণ আগেই তার হার্টে পেসমেকার বসানো হয়েছে।
এদিন দুপুরেই এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। এর আগে গতকাল শনিবার তিনি জানান, দলের চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।
গত শুক্রবার (২১ জুন) দিনগত রাত সাড়ে ৩টায় গুলশানের বাসা ফিরোজায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর দ্রুতই তাকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু করে মেডিকেল বোর্ড।
সবশেষ গত ২ মে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। তখন চিকিৎসকরা তাকে সিসিইউতে রেখে দুদিন চিকিৎসা দেন। এরও আগে গত ২ এপ্রিল রাত ৩টার দিকে তাকে একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস ছাড়াও হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি ও বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন।
দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়া এবং দেশের বাইরে না যাওয়ার শর্তে ২০২০ সালের মার্চে সরকারের এক নির্বাহী আদেশে অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দফায় দফায় মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
রোববার (২৩ জুন) সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, যে আইনে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে সে আইনে তাকে বিদেশে পাঠানোর সুযোগ নেই। খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে নতুন করে কোনো আবেদনও আসেনি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার অসুস্থতার বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিতে দেখেন বলেই ২০২০ সাল থেকে তার সাজা স্থগিত রেখে বাসায় থাকার ব্যবস্থা করেছেন। খালেদা জিয়া তার পছন্দমতো হাসপাতালে বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনে চিকিৎসা করাচ্ছেন।