আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর প্রথম ম্যাচে বিরাট কোহলির ব্যাট হেসেছিল, মিলছিল দুঃসময়কে পেছনে ফেলার ইঙ্গিত। তবে পরের দুই ম্যাচে কোহলি ব্যর্থ আবারও। তার ব্যর্থতার দিনে অবশ্য জয়বঞ্চিত নেই বেঙ্গালুরু। আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও দলের শেষের নায়ক দীনেশ কার্তিক, এবার তার সঙ্গে দাঁড়িয়ে গেলেন শাহবাজ আহমেদ। তাতে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ৪ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস এক জয় পেয়েছে বেঙ্গালুরু।
টস জিতে বেঙ্গালুরু অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি নিয়েছিলেন ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত। দ্বিতীয় ওভারে সফলতা এনে দিয়ে তার সেই সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণের আভাস দেন ডেভিড উইলি, ৪ রান করা যশস্বী জয়সওয়ালকে ফেরান তিনি।
তবে এরপরই আরেক ওপেনার জস বাটলার আর দেবদূত পাড়িক্কালকে সঙ্গে নিয়ে পালটা আক্রমণে জবাব দেয় রাজস্থান। দশ ওভার শেষে তুলে ফেলে ৭৬ রান। দুজনের ৭০ রানের জুটি ভাঙে হার্শাল পাটেলের আঘাতে। তার শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন পাড়িক্কাল। একটু পর বিদায় নেন অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসনও। তাতে বড় রানের আশা কিছুটা শঙ্কাতেই পড়ে গিয়েছিল দলটির।
এরপর শিমরন হেটমায়ারকে সঙ্গে নিয়ে বাটলার আর কোনো ক্ষতি হতে দেননি রাজস্থানের। ৫১ বলে দুজনের অবিচ্ছিন্ন ৮৩ রানের জুটিতে ১৬৯ রানের পুঁজি পায় দলটি।
জবাবে বেঙ্গালুরুর শুরুটাও নেহায়েত মন্দ হয়নি। পাওয়ারপ্লের একটু পরই ৫০ পার করে কোহলির দলকে দারুণ শুরু এনে দেন ডু প্লেসি আর অনুজ রাওয়াত। তবে অধিনায়ক ডু প্লেসির বিদায়ের পরই যেন ধস নামে দলটির ইনিংসে। ৫৫-০ থেকে ১৬ বলের ব্যবধানে ৬২ রানে চারটি উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি। ডু প্লেসির পর সাজঘরে ফেরেন অনুজ, কোহলি ও উইলি। এরপর রাদারফোর্ডও খুব বেশি এগোতে পারেননি, ফিরেছেন ৫ রান করে। ৮৭ রানে পাঁচ উইকেট হারায় বেঙ্গালুরু। জয় থেকে তখনো ৮৩ রানের দূরত্বে দলটি, বল হাতে ছিল মাত্র ৪৫টি।
তখনই প্রতি আক্রমণে কৌশল নেন দীনেশ কার্তিক ও শাহবাজ। দুজন মিলে গড়েন ৩৩ বলে ৬৭ রানের জুটি। দলীয় ১৫৪ রানে যখন শাহবাজ ফিরছেন ব্যক্তিগত ৪৫ রানে, জয় থেকে তখন বেঙ্গালুরু ছিল হাতছোঁয়া দূরত্বে। বাকি পথটা হার্শালকে সঙ্গে নিয়ে অনায়াসেই পাড়ি দেন কার্তিক। তাতে বেঙ্গালুরু পায় ৪ উইকেটের জয়, কার্তিকের হাতে ওঠে ম্যাচসেরার পুরস্কার।