নানা জটিলতার কারণে পেছানো হয়েছে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন। তবে খুব শীঘ্রই এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন। মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) বিকালে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
এদিকে এ সম্মেলনে সভাপতি-সাধারন সম্পাদক পদে মোট ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। তারা হলেন সভাপতি পদে হাজী আহমেদ তুষার মাঈনউদ্দিন ও মো: আমিনুজ্জামান এবং সাধারন সম্পাদক পদে ইব্রাহিম কাশেম, এবিএম আক্তার ও সায়েম আহমেদ লিটন।
সাধারন সম্পাদক পদে যেমন তেমন, তবে সভাপতি পদে তৃণমূলের সমর্থনে এগিয়ে রয়েছেন হাজী আহমেদ তুষার মাঈনউদ্দিন। দলের প্রতি হাজী আহমেদ তুষার মাঈনউদ্দিনের সততা, দক্ষতা, ত্যাগ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে আগামীতে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব তার হাতেই দিতে চাচ্ছে বলে জানিয়েছেন একাধীক কাউন্সিলর।
কাউন্সিলরদের মতে হাজী আহমেদ তুষার মাঈনউদ্দিন অত্যান্ত ভালো একজন মানুষ। এতদিন দলের শীর্ষ পদে না থাকলেও সংগঠনের নেতাকর্মীদের যে কোন বিপদে আপদে তাকে সব সময় কাছে পাওয়া গেছে।
দলের যে কোন কর্মসূচি বাস্তবায়নেও ছিলো তার অগ্রণী ভূমিকা। তার মত একজন ব্যক্তি কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসলে সংগঠন যেমন শক্তিশালী হবে, ঠিক তেমনি তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও মূল্যায়ন পাবে।
কাউন্সিলররা আরও বলেন, হাজী আহমেদ তুষার মাঈনউদ্দিন রাজপথ থেকে উঠে আসা একজন নেতা। তিনি দলের জন্য বার বার ত্যাগ স্বীকার করেছেন। দল করতে গিয়ে তিনি নানাভাবে নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে।
সুতরাং তিনিই বুঝবেন তৃণমূলের কষ্ট বেদনা। তাই আমরা চাই আসন্ন কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তার মত নেতাদেরই যেন মূলায়ন করা হয়।
এ বিষয়ে হাজী আহমেদ তুষার মাঈনউদ্দিন বলেন, আমি সভাপতি হলে আমার প্রথম চেষ্টাই থাকবে দলের ত্যাগী নেতাদের খোঁজে বের করে তাদের নিয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করা।
সেই ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশ বুকে ধারন করে আওয়ামী লীগ করি। আমি কিছু পাওয়ার জন্য নয়, সংগঠনকে কিছু দেয়ার জন্য এসেছি।